দেশের ১১ জেলায় চলমান বন্যায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলমান বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩১। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৮ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যায় নিহতদের মধ্যে কুমিল্লারই ১২ জন। এছাড়া নোয়াখালীতে ৬, চট্টগ্রামে ৫, কক্সবাজারে ৩, ফেনীতে ২ এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও লক্ষ্মীপুরে এক জন করে মারা গেছেন।
আজ বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দেশের ১১টি জেলা আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে। জেলাগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। বন্যায় এসব জেলার ৭৩টি উপজেলা এবং ৫২৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা কবলিত ১১টি জেলায় মোট ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৪ টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৭৩৪। এ পর্যন্ত ৩১ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে কুমিল্লায় মারা গেছেন সর্বোচ্চ ১২ জন। এছাড়া ফেনীতে ২ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, নোয়াখালীতে ৬ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, লক্ষ্মীপুরে ১ জন ও কক্সবাজারে ৩ জন মারা গেছেন এখন পর্যন্ত।
পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেয়ার জন্য মোট ৪ হাজার ৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং তাতে মোট ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫১০ জন লোক আশ্রয় নিয়েছেন। সেইসঙ্গে ৩৯ হাজার ৫৩১টি গবাদি পশু আশ্রয় পেয়েছে কেন্দ্রগুলোতে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৬১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগ্রহ করা ৮৮,৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি এ পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (ডিডিএম) মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
কাফি