আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত। এটিতে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৩ আগস্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। গতকাল সোমবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে ফিরেছে।
গতকাল মঙ্গলবার আদানি গ্রুপের পক্ষে একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৮টায় প্রথম ইউনিট থেকে ৫১৩ দশমিক ৩২ মেগাওয়াট ও দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬৮ দশমিক ৫৭ মেগাওয়াট এবং দুপুর ১টা নাগাদ প্রথম ইউনিট থেকে ৫৯৩ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট ও দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৭৬৩ দশমিক ৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য গোড্ডায় এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছিল আদানি। বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে পিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনে নেবে পিডিবি। গত বছরের এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তারা।
এটি থেকে ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ ছিল না। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক সপ্তাহের মাথায় বাংলাদেশে রপ্তানির পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে আদানির এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ দিয়েছে ভারত সরকার।
তবে চুক্তি অনুযায়ী পিডিবির চাহিদা অনুসারে এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে আদানি। এটি দিতে না পারলে আদানিকে জরিমানা দিতে হবে। আবার বিদ্যুৎ না নিলেও আদানিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) পরিশোধ করতে হয় পিডিবির। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতে জ্বালানি আইনের সংশোধন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। চুক্তি অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আদানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রায় ৮০ কোটি ডলার বকেয়া থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছে আদানি।