অল্প খরচে ঘুরে আসতে পারেন মেঘের স্বর্গরাজ্য সাজেক

অল্প খরচে ঘুরে আসতে পারেন মেঘের স্বর্গরাজ্য সাজেক
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যের আঁধার

সাজেক শব্দটা মনে আসলেই যে কারও চোখের সামনে ভাসে মেঘময় এক পৃথিবী। এখানে ক্ষণে ক্ষণে প্রকৃতি তার রূপ বদলায়। কখনও তীব্র শীত, মুহূর্তেই হয়তোবা শীত অথবা বর্ষা। চোখের পলকেই হয়তো বা আপনার চারপাশ ঢেকে যাবে সাদাকালো মেঘে। এ যেন মেঘের উপত্যকা। নিজেকে মনে হবে মেঘের রাজ্যের বাসিন্দা। হয়তো মনের অজান্তেই খুঁজতে থাকবেন সাদা মেঘের পরী অথবা মেঘের মধ্যে পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়ে আসা রাজ পুত্রকে। সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া কংলাক পাহাড়। চূড়ায় উঠতে উঠতে দেখতে পাবেন মিজোরাম সীমান্তের পাহাড় আর সবুজের মিতালী।

কংলাকের চূড়ার উঠে চারপাশে তাকালে সত্যি সত্যি ভুলে যাবেন যে আপনি ছিলেন কোন যান্ত্রিক নগরে দূষিত বাতাস, দূষিত শব্দ এবং কর্কট সমাজে জন্ম নেয়া মানুষ। আপনার মন-প্রাণ-দেহ পুলকিত হবে এক বিশুদ্ধ চিন্তা এবং অনুভূতিতে। প্রভাত এবং প্রাতঃ বেলায় সূর্যের উদয়-অস্ত দেখার সুখানুভূতি আপনি সারা জীবন মনে রাখবেন। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে অকবিও হয়ে ওঠেন কবি, অপ্রেমিকও হয়ে ওঠে প্রেমিক, একজন সচেতনও অবচেতনে হয়ে ওঠেন উন্মাতাল। একজন বৃদ্ধও সবুজের সুরা পান করে হয়ে ওঠেন তেজদীপ্ত তরুণ।

চারিদিকে সারি সারি পাহাড় আর মাঝে মাঝে সাদা তুলোর মত মেঘমালা। যেন সবুজের রাজ্যে সাদা মেঘের হ্রদের পাড়ে দাড়িয়ে আছেন আপনি। নিশ্চয়ই ভাবছেন স্বপ্নের মত সুন্দর এরকম দৃশ্য বাস্তবে আদৌ কি দেখা যাবে? আর দেখা গেলেও হয়ত যেতে হবে বহুদূরে কোন অজানা দেশে। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেই রয়েছে এরকম এক মেঘপুরী যার নাম সাজেক ভ্যালী।

ভৌগলিক অবস্থান:

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ। সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত। সাজেক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন; যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এখানে সাজেক বিজিবি ক্যাম্প অবস্থিত। সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্থিত বিজিবি ক্যাম্প। বিজিবি সদস্যদের সুষ্ঠ পরিকল্পনায়, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের দ্বারাই বর্তমান সাজেকের এই ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে । বর্তমানে সাজেকে ভ্রমণরত পর্যটকদের জন্য প্রায় সকল ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সারাবছরই সাজেক যাওয়া যায়। আর সাজেকে পাহাড়ধস বা রাস্তাধস এরকম কোন ঝুকি নেই। সাজেক রুইলুইপাড়া এবং কংলাক পাড়া এই দুটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত । ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়ার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭২০ ফুট । আর ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কংলাক পাহাড়-এ কংলাক পাড়া অবস্থিত । সাজেকে মূলত লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসী বসবাস করে । সাজেকের কলা ও কমলা বেশ বিখ্যাত । রাঙামাটির অনেকটা অংশই দেখে যায় সাজেক ভ্যালি থেকে । তাই সাজেক ভ্যালিকে বলা হয় রাঙামাটির ছাদ ।

যাতায়াত:

ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে সৌদিয়া, শ্যামলি, শান্তি পরিবহন, এস আলম, ঈগল ইত্যাদি বাসে করে যেতে পারবেন। নন এসি এইসব বাস ভাড়া ৫২০ টাকা। এসি বাসে যেতে চাইলে বিআরটিসি ও সেন্টমার্টিন পরিবহনে ৭০০ টাকা ভাড়ায় যেতে পারবেন। এছাড়া শান্তি পরিবহন বাস সরাসরি দীঘিনালা যায়, ভাড়া ৫৮০ টাকা। ঢাকায় গাবতলী, কলাবাগানসহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে এইসব পরিবহণের কাউন্টার। ছুটির দিন গুলোতে যেতে চাইলে আগে থেকেই টিকেট কেটে রাখা ভালো নয়তো পড়ে টিকেট পেতে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।সাজেকের অবস্থান রাঙামাটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা হয়ে সাজেক যাতায়াত অনেক সহজ। তাই প্রথমেই আপনাকে খাগড়াছড়ি আসতে হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আর দীঘিনালা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। রাঙামাটি থেকে নৌপথে কাপ্তাই হয়ে এসে অনেক পথ হেঁটে সাজেক যাওয়া যায়। সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও এর যাতায়াত সুবিধা খাগড়াছড়ি থেকে । খাগড়াছড়ি শহর অথবা দীঘিনালা হতে স্থানীয় গাড়িতে (জিপ গাড়ি, সি.এন.জি, মটরসাইকেল) করে সাজেকে যাওয়াই হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। এক্ষেত্রে পথে পড়বে ১০ নং বাঘাইহাট পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প । সেখান থেকে ভ্রমণরত সদস্যদের তথ্য দিয়ে সাজেক যাবার মূল অনুমতি নিতে হবে। একে আর্মি এসকর্ট বলা হয়। আর্মিগণের পক্ষ থেকে গাড়িবহর দ্বারা পর্যটকদের গাড়িগুলোকে নিরাপত্তার সাথে সাজেক পৌছে দেয়া হয়।
কখন যাবেন:

সাজেকের রূপের আসলে তুলনা হয় না। সারা বছরই বর্ণিল সাজে সেজে থাকে সাজেক। বছরের যে কোন সময় আপনি সাজেক ভ্রমণ করতে পারেন। তবে জুলাই থেকে নভেম্বর মাসে সাজেকের চারপাশে মেঘের খেলা দেখা যায় বেশি। তাই এই সময়টাই সাজেক ভ্রমণের জন্যে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত।

যা যা দেখবেন:
সাজেকে সর্বত্র মেঘ, পাহাড় আর সবুজের দারুণ মিতালী চোখে পড়ে । এখানে তিনটি হেলিপ্যাড বিদ্যমান ; যা থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা যায় । সাজেকে একটা ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হচ্ছে এখানে ২৪ ঘণ্টায় প্রকৃতির তিনটা রূপই দেখা মিলে । কখনো খুবই গরম, একটু পরেই হঠাৎ বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়তো চারদিকে ঢেকে যায় মেঘের চাদরে ; মনে হয় যেন একটা মেঘের উপত্যকা । সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে ট্রেকিং করে কংলাক পাহাড়-এ যাওয়া যায়। কংলাক হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া । কংলাকে যাওয়ার পথে মিজোরাম সীমান্তের বড় বড় পাহাড় , আদিবাসীদের জীবনযাপন, চারদিকে মেঘের আনাগোনা পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত আদিবাসীদের উৎসবের সময় তাদের সংস্কৃতির নানা উপকরণ উপভোগ করতে পারেন ।

খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝরনা, দেবতার পুকুর, হর্টিকালচার পার্ক, তৈদুছড়া ঝরনা, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, মায়াবিনী লেক ও শান্তিপুর অরণ্য কুঠির। সাজেকের পাশাপাশি এসব জায়গাও ঘুরে দেখতে পারবেন।

যাওয়ার পূর্বে যা যা লক্ষ্য রাখতে হবে:

আবহাওয়া: চরম গরম আর অতিরিক্ত বৃষ্টির দিকে নজর দিন। এই সময় না যাওয়াই ভাল।
উপলক্ষ: ঈদ, পহেলা বৈশাখ, ইংরেজী নববর্ষ, লম্বা সরকারী ছুঠিতে ভিড় থাকে। তখন কটেজগুলোতে সীট পাওয়া যায়না। তাই এ সময়টাতে এড়িয়ে চলুন।
যা যা সাথে নিবেন: সাথে কিছু নেওয়ার দরকার নাই। মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্য শুধু একটা পাওয়ার ব্যাংক মনে করে নিবেন। আর রবি সীম।
জুতা এবং পোষাক: টি-শার্ট, থ্রিকোয়াটার, ট্র্যাভেলিং জুতা নিয়ে যান।
পারফেক্ট কম্বিনেশন: ৮/১০ জন হল পারফেক্ট। বিশেষ করে চান্দের গাড়ি শেয়ারিং এর জন এই সাইজ না হলে খরচ অনেক বাড়বে। সি.এন.জি বা মটরসাইকেলে যাওয়া অনেক রিস্ক।

যেখানে থাকবেন :

সাজেকে রয়েছে অসংখ্য কটেজ। থাকা নিয়ে তেমন একটা চিন্তা নাই। তবে আপনাকে ঠিক করতে হবে কোন পাড়ায় থাকবেন। সাজেক গিয়েই প্রথম যে পাড়াটি পাবেন সেটি হল রুইলুই পাড়া। পাড়া মানে গ্রাম। তারপর রুইলুই পাড়ার পরের পাড়া হল কংলাক পাড়া। রুইলুই পাড়ায় অসংখ্য কটেজ রয়েছে। রয়েছে সাশ্রয়ী থাকার ব্যবস্থা। অন্যদিকে কংলাক পাড়ায় কটেজ কম এবং যাওয়ার রাস্তাও বেশ দূর্গম। বয়স্ক মানুষেরা পাহাড় বেয়ে সেখানে উঠা অনেকটাই কঠিন। যদি বয়সে সবাই তরুন হোন তবে কংলাক পাড়া সত্যি অসাধারন একটি স্থান।রিকোমেন্ড করি বেশি টাকা দিয়ে হলেও সেখানে যান। আর কম টাকায় থাকতে চাইলে রুইলুই পাড়ার বিকল্প নাই। আর হ্যাঁ আদিবাসীদের ঘরেও খুব কম খরচে থাকতে পারেন।

জুমঘর ইকো রিসোর্ট : থাকার জন্যে কাপল রুম এবং শেয়ার রুম দুটাই আছে। ভাড়া ২০০০-৩০০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৮৮৪-২০৮০৬০ ।

লুসাই কটেজ : কাপল রুম, ডাবল বেড সহ আছে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা। ভাড়া ২০০০-৩০০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৬৩৪১৯৮০০৫ ।

রক প্যারাডাইজ কটেজ : আছে ৪, ৬, ৮ জন থাকার কটেজ। ভাড়া ২৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৮৪২৩৮০২৩৪ ।

মেঘ পুঞ্জি : এটি সাজেকের আরেকটি সেরা কটেজ হিসেবে জনপ্রিয়। আছে ৪টি কটেজ, প্রতিটিতে ৩-৪ জন থাকা যাবে। ভাড়া ২৫০০-৩০০০টাকা। যোগাযোগঃ ০১৮১৫৭৬১০৬৫ ।

রিসোর্ট রুংরাং : রুংরাং রিসোর্টে আছে ৬টি ডাবল এবং ৪টি কাপল রুম। ভাড়া ডাবল- ২৩০০ টাকা, কাপল- ১৮০০ টাকা। উইক ডে তে রুম ট্যারিফের উপর ২০% ডিসকাউন্ট। যোগাযোগ ০১৮৮৪৭১০৭২৩, ০১৮৬৯৬৪৯৮১৭ ।
জলবুক কটেজ: এটি কংলাক পাড়ার একটু আগে অবস্থিত। ভাড়া ২০০০-২৫০০ টাকা । যোগাযোগঃ ০১৮২০-১৮০৭৫০ / ০১৫৫৮ – ১৮০৭৫০ ।

আলো রিসোর্ট: সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়ায়। ৬ টি রুমের মধ্যে ডাবল রুম ৪ টি (২টি বেড)। ভাড়া ৭০০-১০০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৮৬৩৬০৬৯০৬ ।

ইমানুয়েল রিসোর্ট: এটিতে ৮ টি রুম আছে। সাধারণ মানের একসাথে অনেকেই থাকার মত রিসোর্ট। এক রুমে ৪-৮জন থাকতে পারবেন। ভাড়া ৭০০-১৫০০টাকা। যোগাযোগ: ০১৮৬৫৩৪৯১৩০, ০১৮৬৯৪৯০৮৬৮।

সারা রিসোর্ট: রুইলুই পাড়ার কারবারী এই রিসোর্টের মালিক। ছোট টিনের তৈরি ৪টি রুম আছে, ভাড়া ১০০০টাকা। প্রতি রুমে ২জন থাকা যাবে। যোগাযোগ: ০১৫৫৪৫৩৪৫০৭।

আদিবাসী ঘর: এ ছাড়া আরও কম খরচে থাকতে চাইলে আদিবাসিদের ঘরেও থাকতে পারবেন। জনপ্রতি ১০০-৩০০ টাকায় থাকা যাবে। ফ্যামিলি বা কাপল থাকার জন্যে আদর্শ না হলেও বন্ধু বান্ধব মিলে একসাথে থাকা যাবে।

কোথায়, কি খাবেন?
সাজেকে রুইলুই পাড়ায় মূল রাস্তার দুপাশেই রয়েছে বেশকিছু খাবারের হোটেল, যেখানে তবে লোক বেশি হলে আগে থেকে খাবারের অর্ডার করে রাখতে হয়।এছাড়া সব রিসোর্টেও খাবার ব্যবস্থা আছে তাই আগেই রিসোর্টগুলোতে বলে রাখলে একই খরচে পছন্দমত রান্না করে দেবে। মেনু হিসেবে পাবেন ভাত আলুভর্তা, মুরগীর মাংস ইত্যাদি। এছাড়া আদিবাসী ঘরেও খাওয়া যায়, আগে থেকেই বলে রাখতে হবে কি খাবেন, তাহলে রান্না করে দিবে।

স্পেশাল টিপস
১. সি.এন.জি বা বাইক নিয়ে যাবেন না। রাস্তা চরম রিস্কি।হঠাৎকরে গাড়ি বন্ধ হয়ে গেল বিপদে পড়বেন।
২. রিসাং ঝর্নায় নারী, শিশু এবং দূর্বলদের না যাওয়াই উত্তম। অনেক জায়গা হাটতে হবে।
৩. আলুটিলার রহস্যময় গুহায় যেতে মশাল কিনবেননা। মোবাইলের আলোই যথেষ্ট। তাছাড়া মশাল থেকে নির্গত কার্বনডাই অক্সাইড শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করতে পারে।
৪. হাজাছড়া ঝর্ণায় যেতে বাশেঁর লাটি সঙ্গে নিবেন।
৫. রুইলুই পাড়া থেকে কংলাক পাড়া যেতে বাশেঁর লাটি, পানি এবং টিস্যু সাথে রাখবেন।
৬. সাজেকে রাতে থাকার প্ল্যান থাকলে সন্ধার আগেই ওডোমোস ক্রিম মেখে নিবেন।
৭. ব্যাকপ্যাকে কাপড় খুব কম নিবেন।
৮. শীতে সাজেক গেলে সাথে অবশ্যই মাস্ক নিবেন। ধুলা থেকে বাচঁতে পারবেন।
৯. যে কটেজে থাকবেন তাদের যাবার আগে অবশ্যই বলে রাখবেন খাবার ব্যবস্থা করে রাখার কথা।
১০. খাগড়াছড়ি যাবার আগে গাড়ি কনফার্ম করে রাখবেন।
১১. যাওয়ার সময় যা যা অবশ্যই সাথে রাখবেন।

অর্থসংবাদ/এ এইচ আর 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ভিসা ছাড়াই তুরস্কে যেতে পারবেন যারা
পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন ছাড়ার নির্দেশ
এভিয়েশন শিল্পের দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে
খৈয়াছড়া ঝরনা: কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, খরচ কেমন
টিকিটে ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে বিমান
পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে
ঢাকা-আদ্দিস আবাবার ম‌ধ্যে সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব
টিকিটে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে বিমান
ঢাকা-গুয়াংজু রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু ১৪ সেপ্টেম্বর
পর্যটন দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী মেলার আয়োজন