চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, তাঁর ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরীসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাউজান থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে।
২০১৯ সালে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির কার্যালয় ভাঙচুর ও কোটি টাকার মালামাল লুটের অভিযোগে মামলাটি করেন সংগঠনটির দলইনগর- নোয়াজিশপুর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আলাউদ্দিন।
ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানের পাঁচবারের সংসদ সদস্য। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাউজান পৌরসভার সাবেক মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম এহসানুল হায়দার চৌধুরী, গহিরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবসার, পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী মো. ইকবাল, বশির উদ্দিন খান, পৌরসভা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহাজান ইকবালের নাম।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রাউজানে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের ১০৩ নম্বর দলইনগর-নোয়াজিষপুর শাখা (এবাদত খানা) ভাঙচুরের কারণে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ফজলে করিমের নির্দেশে আসামিরা আধ্যাত্মিক ও তরিকতভিত্তিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির পাকা একতলা ভবনের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেন এবং কমিটির সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় কার্যালয় থেকে নগদ ৬ লাখ টাকাসহ সব সরঞ্জাম লুট করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সংগঠনটির সদস্যদের এলাকায় থাকতে দেওয়া হয়নি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে রাউজান থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন আওয়ামী লীগের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। সেই থেকে রাউজানে শুরু হয় বিনা ভোটের রেওয়াজ। ইসিকে ‘দর্শক’ বানিয়ে সবকিছুই চলে যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণে। তিনিই হয়ে যান অঘোষিত নির্বাচন কমিশনার।
পরের আট বছর ধরে রাউজানের স্থানীয় সরকার তথা উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আর কখনো ভোট হয়নি। সব ধরনের সালিশ বিচার চালাতেন এমপি ফজলে করিম চৌধুরী ও তার ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী।