পুঁজিবাজারের টানা পতন ঠেকাতে গত ২৫ এপ্রিল থেকে শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন মূল্যসীমায় পরিবর্তন এনেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ কমতে পারে। যা আগে ১০ শতাংশ কমতে পারতো। তবে দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ৩ শতাংশ থাকলেও কোনো কোম্পানির একদিনে ১০ শতাংশ দরবৃদ্ধি হতে পারে। শেয়ার দরের বৃদ্ধি-পতনের এমন পার্থক্যকে এতদিন বৈষম্যমূলক নীতি বলে দাবি করেছিলেন বিশ্লেষকরা।
এবার বিশ্লেষকদের তালে সুর মেলালেন বিএসইসির কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান। রোববার (২৫ আগস্ট) কমিশন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার রাখা হয়েছে ১০ শতাংশ, বিপরীতে দাম কমার ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উত্তরে বিএসইসির এ কমিশনার বলেন, দরসীমা বাড়া এবং কমা উভয় পাশে সমান থাকা উচিত। না হয় বৈষম্য এড়ানো সম্ভব নয়। আমরা শেয়ারবাজারের সব জায়গা থেকে বৈষম্য দূর করবো। কোথাও বৈষম্য থাকবে না।
এর আগে শেয়ারবাজারের দরপতন ঠেকাতে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসির শিবলী কমিশন। এরপর তা প্রত্যাহার করে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই আবার আরোপ করা হয়। পরবর্তীতে প্রত্যাহার-আরোপ নীতি চালিয়ে যায় বিএসইসি। সবশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি আরো ছয় কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রেখে বাকি সব কোম্পানি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তাতে ফেব্রুয়ারিতে পুঁজিবাজারে ফের শুরু হয় দরপতন। এ অবস্থায় দরপতনের তীব্রতা কমাতে শেয়ারদর কমার ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার আরোপ করে বিএসইসি।
তবে দরসীমায় বৈষম্য দূর করতে এবার ৩ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার প্রত্যাহার করতে পারে বিএসইসি।
এমআই