‘ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি লুট করেছে। আর আমরা সৎভাবে যারা ব্যবসা করেছি, তারা এখন এলসি খুলতে পারছি না। প্রয়োজন অনুয়ায়ী ডলার পাচ্ছি না। এতে ব্যবসা ব্যাপকভাবে সংকটের মুখে পড়েছে। ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া ব্যবসায়ীদের ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করা প্রয়োজন।’
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে শরীআহ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অবৈধ প্রভাব থেকে রক্ষার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘গ্রাহক সমাবেশ’ এসব কথা বলেন বক্তারা।
এসময় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো কালো হাতে কিভাবে দেওয়া হয়েছিলো তা তদন্ত করলে উঠে আসবে। তখনকার সময়ের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে তখন বোঝানো সম্ভব হয়নি। এরপর যা হয়েছে তা সবাই জানেন। যদিও দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন গভর্নর ইসলামি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছেন। একইসঙ্গে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার বলেন, ইসলামী ব্যাংকের পে-স্কেল সুবিধা নিয়ে এস আলম অনেককে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। অতি দ্রুত এদের নিয়োগ বাতিল করা উচিত। আমরা এলসিসহ ব্যবসার অনেক কিছু করতে পারি না। ঋণ স্যাংশন করতে পারি না। তবে এস আলমের ক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক মতো হচ্ছে। ইসলামী মূল্যবোধ যাতে গড়ে উঠতে না পারে, সেজন্য এস আলমের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেওয়া হয়। এরপর সব ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
এসএম