টানা ভারী বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে অনেক জেলায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমির পাশাপাশি তলিয়ে গেছে রেলপথও। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় ট্রেন চলাচল স্থগিত রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও অতি বৃষ্টির কারণে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন সেকশনে রেল লাইনের নিচের মাটি সরে গিয়ে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। অতি বৃষ্টির কারণে ফাজিলপুর-কালিদহ সেকশনের নিচ থেকে মাটি, পাথরসহ স্লিপার সরে গিয়ে রেল লাইন বেঁকে যায় এবং চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-দোহাজারী-কক্সবাজার সেকশনেও একইভাবে লাইনের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে লাইন বেঁকে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করার জন্য ডিইএন-১ (চট্টগ্রাম) অনুরোধ জানান।
এছাড়া, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জ-লস্করপুর সেকশনের কিলোমিটার ২৬০/৯ থেকে ২৬১/১ পর্যন্ত ৯৮ নম্বর রেল সেতুর গার্ডার সমান পানি হওয়ায় ট্রেন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য এসএসএই (ওয়ে) (শায়েস্তাগঞ্জ) অনুরোধ জানান।
যেসব রুটের ট্রেন বাতিল
ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০১/৭০২), চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের মহানগর প্রভাতি (৭০৩), ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৭/৭১৮), উপবন এক্সপ্রেস (৭৪০/৭৩৯), চট্রগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২), সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৩/৭২৪), চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটের মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯/৭৩০), চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), ঢাকা-সিলেট রুটের কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩), চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫/৭৮৬), চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭), ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০২), কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩/৮১৪), ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটের পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৫/৮১৬), কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের ডাউন কক্সবাজার স্পেশাল, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল (১/২), ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের সুরমা মেইল (৯/১০) এবং চট্টগ্রাম-ভূয়াপুর রুটের ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (৩৭)।