১০ ঘণ্টার রেলযাত্রার শেষে সাত ঘণ্টার কিয়েভ সফর। আবার ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রায় প্রত্যাবর্তন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পূর্ব ইউরোপ সফরের তৃতীয় দিন কাটতে চলেছে এই রুটিনেই।
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে ‘রেল ফোর্স ওয়ান’-এ চড়ে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিভের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সেখানে পৌঁছেছেন তিনি। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মোদী।
ইউক্রেন পৌঁছনোর আগে মোদী বলেন, ভারত শান্তির সেতু হতে চায়, কোনো পক্ষ নিতে নয়।
১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে গেলেন। রাশিয়ার হামলা শুরুর পরে অবশ্য একাধিক বার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদী। মনে করা হচ্ছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বার্তা দিয়েই এবার রাশিয়ার শত্রু দেশে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমালোচকেরা অবশ্য বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়াকে সন্তুষ্ট করতেই তার এই সফর।
জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়রমাক সম্প্রতি বলেছেন, মোদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
মোদীর কিয়েভ সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েও জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
গত জুন মাসে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইতালি গিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন মোদী। তার আগে জাপানেও দু’জনের একান্তে আলোচনা হয়েছিল।