শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশজুড়ে চাঁদাবাজি কমে গেছে। তাতে ব্যয় কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দামই ১০০ টাকার নিচে অবস্থান করছে। তবে সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও চালের দাম বেড়েছে। সব ধরনের চাল কেজি প্রতি ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। যা মাসখানেক আগেও ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এক মাস আগের ১৫০ টাকার বেগুন ও করলাও মিলছে অর্ধেকের কম দামে। ১০০ টাকার বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি।
তবে আলুর দর স্থিতিশীল। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ ও অন্য পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে অন্য মাছের চাহিদা কমেছে। দামও পড়তি। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৫৫০ টাকায়। আবার ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেনা যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়।
হেরফের নেই মুরগির দামেও। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৭৫ ও সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে।
কিন্তু ডিম ও চালের বাজারের চিত্র ভিন্ন। গত ১ মাসে ডিমের ডজনে বেড়েছে ৫ টাকা। এখন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। আর মোটা, সরু ও মাঝারি সব ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।
এ বিষয়ে কথা হয় কারওয়ান বাজারের এক চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বলেন, চালের দাম এক মাস ধরে বাড়ছে। প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। মিলাররা ধান সংকটের অজুহাত দিচ্ছেন। উৎপাদন এলাকার মিল পর্যায়ে ধান-চালের মজুতের পরিমাণ তদারকি করলে আসল চিত্র বের হবে। সরকারের উচিত এখনই তদারকি বাড়ানো।
এমআই