তিন দিনের বন্যায় কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রামুসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, মাথায় গাছ পড়ে ও পানিতে তলিয়ে মারা গেছেন তারা।
দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লায় ৪, ফেনীতে ১, চট্টগ্রাম ২, নোয়াখালীতে ১, ব্রাহ্মাণবাড়ীয়া ১, লক্ষ্মীপুরে ১ ও কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন নারী রয়েছেন।
এতে বলা হয়, বন্যাপ্লাবিত ১১ জেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফেনীর। তবে সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা দুর্গত জেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত শুষ্ক খাবারও পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় খালিদ মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থী বন্যার্তদের জন্য পানি পৌঁছে দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। গতকাল (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
লাকসাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন হোসেন জানান, একই দিনে বিকেলে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে ওই উপজেলার এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বন্যার পানিতে তলিয়ে কেরামত আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি বুধবার রাতে মারা যান। তিনি পৌরসভার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার মধ্যরাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় একটি ব্রিজের নিচে তলিয়ে যান কেরামত আলী। কিছু সময় পর ঘটনাস্থল থেকে দূরে তার লাশ ভেসে ওঠে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব দাস দেব তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া বুধবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা ছিল।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জোবায়ের হোসেন রাফির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিক কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় গাছ থেকে পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া (আদর্শ গ্রাম) পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর সালাউদ্দিন মোড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়। বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে পা জড়িয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এমআই