ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমদানি বিল বকেয়া ২২০ কোটি ডলার

বৈদেশিক মুদ্রা ডলার–সংকটের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আমদানি বিল বকেয়া বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমানে বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২২০ কোটি মার্কিন ডলার (২৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা)।

বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ১০০ কোটি ডলার প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা। গতকাল সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বর্তমান সরকার একটি দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। এখন থেকে সব ধরনের কেনাকাটায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধানাবলি ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন বেগবান করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন ২০২৩-এর ৩৪ক ধারায় সরকারের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা স্থগিত করেছেন উপদেষ্টা। প্রয়োজনে এ আইন দুটো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশোধন বা বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক নতুন দায়িত্বের জন্য উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাঁরা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার