আফ্রিকার একটি দেশ থেকে থাইল্যান্ডে আসা ইউরোপীয় এক নাগরিকের শরীরে এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপীয় ওই নাগরিক গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে আসেন বলে বুধবার দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এমপক্সের কোন ধরনে ইউরোপীয় ওই নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন তা জানার জন্য পরীক্ষার ফলের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাপরিচালক থংচাই কিরাতিহাত্তায়কর্ন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গত ১৪ আগস্ট আফ্রিকার একটি দেশ থেকে থাইল্যান্ডে আসেন ৬৬ বছর বয়সী ইউরোপীয় ওই নাগরিক। এমপক্সের ক্ল্যাড-১ ধরনে আক্রান্ত হিসেবে ধরে নিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস এমপক্সের ক্ল্যাড-১ ধরন ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে মানুষের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এমপক্সের এই ধরনের কারণে বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে ইউরোপের দেশ সুইডেনে এমপক্সের ক্ল্যাড-১ ধরনে আক্রান্ত একজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়।
আফ্রিকায় এমপক্সের এই ধরনের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের সাথে সুইডেনে শনাক্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে এমপক্সের ক্ল্যাড-১ ধরনে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় সুইডেনে।
থংচাই কিরাতিহাত্তায়কর্ন বলেন, তিনি (ইউরোপীয় নাগরিক) ফ্লাইট থেকে নামার পর অল্প সময়ের জন্য অন্যদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসেন এবং পরের দিন ১৫ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে যান তিনি।
ওই ব্যক্তি এমপক্সের অতি-সংক্রামক ক্ল্যাড-১ ধরনে আক্রান্ত কি না তা জানার জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে পরীক্ষার ফল পাওয়া যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। থংচাই বলেন, ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন সন্দেহে দেশে অন্য আরও ৪৩ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের এই মহাপরিচালক এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তি আফ্রিকার কোন দেশ থেকে এসেছেন তা জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর আগে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে ট্রানজিট নিয়েছিলেন। ইউরোপীয় ওই ব্যক্তির ট্রানজিট নেওয়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশের নামও জানাননি থংচাই।
২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে এমপক্সের ক্ল্যাড-২ ধরনে আক্রান্ত অন্তত ৮০০ রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশটিতে এখন পর্যন্ত এমপক্সের অতি-সংক্রামক ধরন ক্ল্যাড-১ কিংবা ক্ল্যাড-১বি শনাক্ত করা যায়নি।