জাতীয়
পুলিশকে দ্রুত মামলা-জিডি নেওয়ার নির্দেশ
সারাদেশের থানাগুলোকে মামলা, জিডি এবং এফআইআর দ্রুত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তদন্তে বিলম্ব না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-৩ শাখা থেকে এমন আদেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অভিযোগ ও সংবাদ মাধ্যমে থানায় অভিযোগ গ্রহণে বিলম্বের খবর পাওয়া গেছে। আবার অনেক জায়গায় থানায় জিডি, এফআইআর এবং মামলা গ্রহণে অসম্মতি এবং বিলম্ব করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- জিডি, এফআইআর এবং মামলা গ্রহণে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করা যাবে না।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান তার মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠাকল্পে জনসাধারণের বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরিপত্রটি পুলিশ অধিদপ্তর, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সব মেট্রোপলিটন ও ডিআইজি রেঞ্জের পুলিশ কমিশনার এবং সব পুলিশ সুপারদের বিতরণের জন্যও বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার দশ বছরের সাজা স্থগিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আদালত। সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার আদেশের এ দিন ধার্য করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন।
রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
পৃথক লিভ টু আপিল ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত পৃথক লিভ টু আপিল আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় পৃথক লিভ টু আপিল শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানিতে অংশ দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কপ ২৯ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বাকুতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কপ ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজ সোমবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।
প্রেস সচিব জানান, সফরে প্রধান উপদেষ্টা ব্যস্ত সময় পার করবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাকুতে নিজেদের দাবিদাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সেসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।
শফিকুল আলম বলেন, ইউনূস কপ ২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য দেবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এ সম্মেলনে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। তাঁর প্রথম সফর ছিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
আরও ১১৮ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) নতুন করে আরও ১১৮ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার মোট ১৬৭ সাংবাদিকের কার্ড বাতিল করল।
গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের কাছে অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীর।
এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে এসব সাংবাদিক ও ব্যক্তিদের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তর থেকে এর আগে ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। পরে ৩ নভেম্বর আরও ২৯ জনের কার্ড বাতিল করে সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শপথ নিলেন নতুন ৩ উপদেষ্টা, কে কোন দপ্তর পেলেন
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। নতুন তিন উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পর রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের দপ্তর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
মাহফুজ আলমকে কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরও তিনজন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ নেওয়া তিন উপদেষ্টা হলেন- ১. সেখ বশিরউদ্দিন, ২. মো. মাহফুজ আলম, ৩. মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এর আগে চার দফায় শপথগ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।
পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
এরপর গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।