সরকার পতন কিংবা নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদের পরিবর্তন- কোন কারণেই গতি পাচ্ছে না দেশের পুঁজিবাজার। উল্টো গত কয়েকদিন ধরে টানা দরপতনে ডুবেছে। তাতে আজ শেয়ারদর হারিয়েছে ৩৭১ কোম্পানি। পাশাপাশি দরবৃদ্ধির তালিকায় অবস্থান করছে মাত্র ১১ কোম্পানি। লেনদেনের সঙ্গে সূচকও এখন কমতির দিকে। গত ৯ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪০৮ পয়েন্ট।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২১ আগস্ট) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১০৮ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬০৬ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ২৮ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ১২০১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৪৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ২০৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
গুঞ্জন ছিল, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের পর শেয়ারবাজার চাঙা হয়ে উঠবে। গত ১০ আগস্ট বিএসইসির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে গত ১৩ আগস্ট পদত্যাগ করেন দুই কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও রুমানা ইসলাম। মাঝে চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে অস্থিতিশীলতা থাকলেও নতুন চেয়ারম্যান যোগদানের পরেও বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থা ফিরেনি।
সূত্র বলছে, আজ ডিএসইতে ৫৩৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৫১৮ কোটি টাকা। তবে আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের পর ২ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও তা পর্যায়ক্রমে নিম্নমুখী হতে শুরু করে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সাবেক চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি টাকার। কিন্তু পরেরদিনেই তা অর্ধেক কমে যায়। অভিভাবক শূন্যতায় গত ১৮ আগস্ট লেনদেন নেমে আসে ৪৮০ কোটি টাকায়। একইদিনে বিএসইসিতে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিলেও পরের কার্যদিবসগুলোতে দরপতন অব্যাহত ছিলো।
এদিকে আজ বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১টি কোম্পানির, বিপরীতে ৩৭১ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
এমআই