ক্যাটাগরি: জাতীয়

মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ১৮তলায় উঠে পড়লেন শিক্ষার্থীরা

নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ১৮তলায় উঠে পড়েন শত শত পরীক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল পৌনে চারটার দিকে সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তারা সাড়ে তিন ঘণ্টা সচিবালয়ে অবস্থান নেন। এ সময় সচিবালয় থেকে কোনো কর্মকর্তাকে বের হতে দেখা যায়নি।

দুপুরে তারা জিরো পয়েন্টের দিকের সচিবালয়ের গেট দিয়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েন। তারা সচিবালয়ে ঢুকে ৬ ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝামাঝি জায়গায় মিছিল করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা মাইক বহনকারী রিকশা নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে শিক্ষার্থীদের নিবৃত করতে দেখা গেছে।

আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল কিভাবে দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত পরে হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিল হলেও তাদের মূল্যায়ন কিভাবে হবে সে বিষয়ে পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবারে পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই ও ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে প্রবেশ করার আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‌‘আমাদের দাবি একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই’, ‘আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম’, ‘পরীক্ষা না বিকল্প, বিকল্প-বিকল্প’, ‘যুক্তি দিয়ে আন্দোলন-বন্ধ করা যাবে না’, ‘চলছে লড়াই-চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, দেড় মাসের পরীক্ষা দিতে আমরা কয়েক মাস ধরে ঝুলে আছি। তারা আমাদের কয়েকদিন আগেও জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা হবে। তাহলে আরেক মাস লাগবে পরীক্ষার জন্য। এরপর এক মাসব্যাপী পরীক্ষা হবে। এত সময় নিলে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করবে কখন? আর আমরা ভর্তি হবো কবে?

তারা আরও জানান, একটা বোর্ড পরীক্ষা কিভাবে ৬-৭ মাস পর্যন্ত ঝুলে থাকে? সেজন্য আমরা এটা মানি না। আমরা চাই যেসব পরীক্ষা হয়েছে সে অনুযায়ী পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হোক। দাবি না মানলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার