বিনোদন
নিপুণকে জয়ী করতে ১৭ বার ফোন করেন শেখ সেলিম
২০২২ সালের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাথমিক ভোট গণনায় জায়েদ খান জয়ী হন। তবে সে ফলাফল মেনে না নিয়ে আদালতে যান নিপুণ। পরে আদালতের নির্দেশে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসেন তিনি।
এবার অভিযোগ উঠেছে, এক রাজনীতিবিদের সরাসরি প্রভাব রয়েছে নিপুণের দাপটের পেছনে। নির্বাচনে তাঁকে জয়ী করতে নির্বাচন কমিশনারদের ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখান রাজনৈতিক নেতারা। এমনকি নিপুণকে জয়ী করতে ১৭ বার ফোন করেন সদ্য দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিম।
শিল্পী সমিতির সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা একাধিক নির্বাচন কমিশনার। তাদের একজন গণমাধ্যমকে বলেন, জীবনের হুমকি ছিল। যেকোনো সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে, এমন শঙ্কা ছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশনারদের একের পর এক ভয়ভীতি দেখিয়ে গালিগালাজ করা হয়। বলা হয় যে পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে যাবে। এমন লেভেল থেকে ফোন আসবে, ভাবতেই পারিনি। আমাদের একজনকে সেই সময় নিপুণকে জয়ী করাতে ১৭ বার ফোন করেন শেখ সেলিম সাহেব, তাঁর মতো লোক। এটা আমাদের অবাক করেছিল।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পিরজাদা হারুন বলেন, ২০২২ সালের নির্বাচনে তাঁর ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, যা তাঁকে মানসিকভাবে এখনো আতঙ্কিত করে। তিনি বলেন, নির্বাচনে নিপুণকে জয়ী দেখাতে অনেক ওপর থেকে এক ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদ একের পর এক ফোন করতে থাকেন। তিনি সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়ে সরাসরি প্রভাব খাটাতেন, নিয়ন্ত্রণ করতেন বলা যায়। কিন্তু আমি সরাসরি “না” বলে দিই।
পরবর্তী সময় মুঠোফোনে ভয়ও দেখানো হয়, এমনকি বড় অঙ্কের অর্থের লোভ দেখানো হয় উল্লেখ করে হারুন বলেন, ‘তখন একের পর এক ফোনে আমাকে ভয় দেখানো হয় যে তুলে নিয়ে যাবে। পরে একটা জায়গায় যেতে বলেন, যেখানে বড় অঙ্কের টাকা রাখা ছিল। যখন রাজি হলাম না, তখন ফলাফল নিয়ে মামলা করা হলো। সেটা চলে গেল কোর্টে। তখন নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে বানিয়ে দেওয়া হলো অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। নানা কাণ্ডে আমাকে ছোট করা হলো, এফডিসিতে নিষিদ্ধ করা হলো।’
সে বছর ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু সেখানেও একই ফলাফল পায় আপিল কমিটি। পরে ঘটনা মামলায় গড়ায়। আদালত থেকে রায় নিয়ে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসে নিপুণ। তিনি পুরো সময় দায়িত্ব পালন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
এবার বিজ্ঞাপন নিয়ে আসছেন আমিনুল সিকদার
ক্রাইম সিরিজ ‘সতর্ক সংকেত’ দিয়ে ২০১৮ সালে পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন নির্মাতা আমিনুল সিকদার। তারপর পরিচালনা করেছেন বেশ কয়েকটি নাটক, স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও। তার পরিচালনা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। এবার তিনি প্রথমবার হাজির হচ্ছেন বিজ্ঞাপনে নির্মাণে।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা আমিনুল সিকদার বলেন, মিডিয়াতে যুক্ত আছি প্রায় এক যুগ, এবারই প্রথম বিজ্ঞাপনে কাজ করছি, ভালো লাগছে এবং চ্যালেঞ্জও আছে অনেক। কারণ আগে যে গল্প এক ঘণ্টায় বলতাম, এখন সেই একই গল্প ১ মিনিটে বলতে হচ্ছে, তবে ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি। যদিও আমার কাজের সংখ্যা খুবই কম, আসলে কোনো কাজের গল্প/কনসেপ্ট আমার পছন্দ না হলে কখনো সেইটা দর্শকদের দেখানোর চেষ্টা করি না। সেই হিসেবে বিজ্ঞাপনের কনসেপ্টটা আামার বেশ পছন্দ হয়েছে বলেই কাজ করেছি। ভালো একটি বিজ্ঞাপন হয়েছে। আশা করছি প্রচারে গেলে ভালো লাগবে দর্শকদের।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলাতে বিজ্ঞাপনটির শ্যুটিং হয়েছে এখন সম্পাদনার কাজ চলছে। হ্যামার ওয়ার সেফটি শো/জুতার বিজ্ঞাপন ছিল। এটি একটি সিঙ্গাপুর ভিত্তিক কোম্পানি হ্যামার ওয়ার। এছাড়া বেশকিছু খণ্ড নাটক নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন এই নির্মাতা।
বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন শফিকুল ইসলাম কাইজার, শ্রাবনী জান্নাত ও শিশু শিল্পী জান্নাত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
চলে গেলেন হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লতিফা কোহিনূর
প্রথাবিরোধী লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লতিফা কোহিনূর মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
লতিফা দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
লতিফা কোহিনূর বিআইআইএসএস কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি দুই কন্যা মৌলি আজাদ ও স্মিতা আজাদ এবং পুত্র অনন্য আজাদকে রেখে গেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
আমরা ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না: অরুণা বিশ্বাস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারকাদের একাংশ ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে। হোয়াটসঅ্যাপে তারা গোপন গ্রুপ খুলে ছাত্রদের দমন করার পরামর্শ দেন। সেই কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। ‘আলো আসবেই’ নামের গ্রুপে সরব ভূমিকা পালন করেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। তবে তিনি দাবি করছেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কেউই ছাত্রদের বিপক্ষে ছিল না।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তিনি।
অরুণা বিশ্বাস বলেন, আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না।
তিনি বলেন, সত্যি কথা হলো আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। পাঁচ দিন কোনো খবর নিতে পারিনি। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল, তখন। ওই সময় যে বাচ্চাদের এতকিছু হয়েছে জানতান না।
তিনি দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এতকিছু ঘটে গেছে, সেটা তিনি জানতেন না। আর গরম জল ঢেলে দেয়ার বিষয়টিও সেভাবে বলতে চাননি, যেভাবে এখন ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
গরম পানি ঢালা প্রসঙ্গে অরুণা বলেন, বলা হচ্ছিল, হাসপাতালে আগুন লেগেছে। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধ হয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।
জানা যায়, ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত ছিলেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ আহমেদ, সাজু খাদেম, অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা এবং অরুণা বিশ্বাসসহ অনেকে।
ভাইরাল হওয়া সেই স্ক্রিনশটে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবা, সুইটি ছাত্রদের যেকোনো মূল্যে দমন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। ওই কথোপকথনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপক্ষে মত দেন তারা! বলেন, যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের গায়ে গরম পানি ঢালার পরামর্শ দেন অরুণা বিশ্বাস!
তবে সরকার পতনের পরপরই গোপনে কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
শিক্ষার্থীদের গায়ে ‘গরম জল’ ঢালতে বলেছিলেন অরুণা বিশ্বাস
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে শিল্পীদের মধ্যে দুটি দল দেখা গিয়েছিল। কেউ ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্যদল বিপক্ষে। নেটমাধ্যমে সরব ছিল দুদলই
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষ দলে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। এ দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন—অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ অনেকে। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সক্রিয় দেখা গেছে এ দলকে। এমনকি ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। আন্দোলনকালীন সেখানে নিজেদের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা বলতেন তারা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলো আসবেই নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। তাতে দেখা গেছে আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন শোবিজের কজন অভিনয়শিল্পী। শুধু তাই নয়, তখন ফেরদৌস, আরাফাত ও রিয়াজের কিছু চাঞ্চল্যকর কথোপকথনও হয়, যা দেখে শিউরে উঠেছে সাধারণ জনতা।
তাদের মধ্যে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসকে আন্দোলনকারীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার কথা বলতেও দেখা গেছে যায়। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় সরব হয়েছেন। পাশাপাশি শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ওই গ্রুপের কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি আন্দোলনকে ঘিরে কারা মানবতার বিপক্ষ শক্তি ছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন নির্মাতা।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকালীন ওই গ্রুপের কথোপকথনের বিষয়ে জানতে ফেরদৌস ও রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে গণমাধ্যম। তবে তাদের বক্তব্য মেলেনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
এবার হত্যা মামলার আসামি তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবা
যাত্রাবাড়ি থানায় হত্যা মামলার আসামি হলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি (তৌহিদ উদ্দিন)। এ হত্যা মামলায় ১১ নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম।
বাদী মো. জয়নাল আবেদীনের করা হত্যার অভিযোগে এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। আসামির তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের এবং ৩ নম্বরে আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তালিকায় রয়েছে তৌহিদ উদ্দিন আফ্রিদির বাবার নামও। এ মামলায় তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথী (মাইটিভির মালিক) ২২ নম্বর আসামি। এ হত্যা মামলায় সর্বমোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।