ডলারে চালু হওয়া ‘ক্রলিং পেগ’ অনুযায়ী ১১৭ টাকা মধ্যবর্তী দরের সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করে বিক্রি করতে পারবে ব্যাংক। এতে করে আমদানি নিষ্পত্তিতে সর্বোচ্চ দর হবে ১২০ টাকা।
সোমবার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে ১২ ব্যাংকের এমডিদের বৈঠকে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি সার্কুলার জারি করা হবে। সার্কুলারটি যেদিন জারি করা হবে ওই দিন থেকেই এই দর কার্যকর করা হবে।
এছাড়া সব ধরনের বৈদেশিক পরিশোধ যথাসময়ে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন গভর্নর। একই সঙ্গে ব্যাংক খাত সংস্কারে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে একটি প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই ডেপুটি গভর্নরসহ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাষ্ট্রীয় মালিকানার চার ব্যাংক, বেসরকারি ৫টি ও তিন বিদেশি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গভর্নর ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো, সরকারিসহ সব ধরনের এলসি দেনা ও অন্যান্য বৈদেশিক পরিশোধসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
সূত্র জানায়, গত ৯ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোতে ডলারের লেনদেনে ক্রলিং পেগ (ডলারের দাম একটি সীমার মধ্যে বেঁধে দিয়ে ওঠানামার সুযোগ দেওয়া) পদ্ধতি চালু করে। এই পদ্ধতিতে প্রতি ডলারের মধ্য দর নির্ধারণ করা হয় ১১৭ টাকা। ব্যাংকগুলো এর থেকে সর্বোচ্চ এক টাকা বেশি বা এক টাকা কমে বেচাকেনা করতে পারবে। এ হিসাবে ডলারের দাম হয় সর্বনিম্ন ১১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা।
ওই দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে ওই দামে ডলার মিলছিল না। যে কারণে নতুন গভর্নর দায়িত্ব নিয়ে ডলারের দাম বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে দাম কিছুটা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিন্ধান্ত অনুযায়ী ডলারের দাম এখন সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারবে। এ হিসাবের মধ্য দর নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এমআই