ক্যাটাগরি: কর্পোরেট সংবাদ

ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১২০০ বৃক্ষ রোপণ

ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশন (আইজিএফ) ঢাকা শহরের সমাজ এবং পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটিতে গাছের ক্যানোপি কভারেজ ১৫.৩৯ শতাংশ, যেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এটি ১০.৩১ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা একটি শহরের বাসযোগ্য হতে হলে অন্তত ২৫ শতাংশ কভারেজ প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিয়েছেন। এ কারণেই আইজিএফ ‘গ্রিন ঢাকা ইনিশিয়েটিভ’ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে।

এ লক্ষে শনিবার (১৭ আগস্ট) ২৫০ জন নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবকের সাহায্যে শহরজুড়ে এক হাজার ২০০ গাছ রোপণ করে আইজিএফ। এর মাধ্যমে বিজয় সরণী, আফতাবনগর, এবং আগারগাঁও এলাকা গুলকে আরো সবুজ করা হয়েছে, যা শহরের পরিবেশগত স্বাস্থ্যকে সহায়তা করেছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো যুবক এবং প্রবীণ নাগরিকদের অনুপ্রাণিত এবং তাদের প্রভাবিত করা।

ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ জাহিরুল ইসলাম বলেন, উদ্যোগটি বাংলাদশের যুবকদের উদ্বুদ্ধ ও সম্পৃক্ত করার জন্য নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা এমন সবুজ প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং একসাথে কাজ করে আমাদের শহরকে আরো সবুজ করতে পারে।

পরিবেশগত প্রচেষ্টার পাশাপাশি, ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, রোড সেফটি উন্নত করার এবং আইনশৃঙ্খলা পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে। আইজিএফ শিল্পকর্মের নানা উদ্যোগেও নেতৃত্ব দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহরের দেয়ালে গ্যাফিটি এবং স্বাধীনতা প্রেরিত মুরাল আঁকা। এই উদ্যোগগুলি নতুন সূচনার প্রতীক হিসেবে কাজ করছে এবং স্বেচ্ছাসেবকদের তাদের শিল্প প্রতিভা প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করছে। আইজিএফ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভগুলোর যেমন শহীদ মিনার, পরিষ্কার রাখার দায়িত্বও নিয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ এবং পুনঃব্যবহার প্রচারের মাধ্যমে তারা একটি স্বাস্থ্যকর শহুরে পরিবেশ তৈরি করছে।

এছাড়াও, আইজিএফ যুব উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, এবং অস্বচ্ছল সম্প্রদায়ের জন্য টেকসই জীবনযাত্রার সুযোগ প্রদান করতে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থানীয় সরকারের সাথে সহযোগিতা এবং ২৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, আইজিএফ বাংলাদেশে ৬৪টি জেলায় প্রায় ৪ লাখ ৮৬ হাজার মানুষকে সরাসরি সাহায্য করেছে এবং দুইটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের শিক্ষামূলক উদ্যোগের কেন্দ্রে রয়েছে ইগনাইট স্কুল, যেখানেআইজিএফ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, একটি সহায়ক ও শিশু-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করে। ইগনাইট স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিশেষ চাহিদা পূরণে নিবেদিত এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশন কেবল বর্তমানকে প্রভাবিত করছে না; তারা একটি নতুন যুগের সূচনা করছে যা আগামী প্রজন্মের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার