দ্বিতীয় প্রজন্মের বাণিজ্যিক ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) খেলাপি ঋণের প্রায় আট হাজার কোটি টাকার তথ্য গোপন করেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) পদত্যাগ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর খেলাপি ঋণের বিশাল পরিমাণ আড়াল করতে এসআইবিএলকে সহযোগিতা করেছেন। এ ছাড়া প্রভিশন ঘাটতির কারণে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকটি লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গোপন প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসআইবিএলের খেলাপি ঋণ দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এখানে এসআইবিএল ৭ হাজার ৯২৪ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করেছে।
এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরিদর্শন দল ব্যাংকে ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতির তথ্য খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু ব্যাংকটি শুধু ৬৪ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি দেখিয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এতে এসআইবিএল ৮ হাজার ৬৩ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি গোপন করেছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দল ঢাকায় ৫টি প্রধান শাখা এবং ঢাকার বাইরে ৭টি শাখা পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক পরিদর্শনের পর আমরা হতবাক হয়ে যাই। এটা পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরির মতো। যেখানে ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকার প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে, সেখানে মাত্র ৬৪ কোটি টাকা ঘাটতি দেখিয়ে তথ্য গোপন করা হয়েছে।