আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখতে আগামী ২ অক্টোবর ঢাকায় আসতে চায় একটি প্রতিনিধি দল। দলটি গত জুনভিত্তিক দেওয়া বিভিন্ন শর্ত বাস্তবায়ন ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসবে।
বাংলাদেশের জন্য গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদনের পর ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে প্রতিটি কিস্তি পেতে শর্ত প্রতিপালন করতে হচ্ছে।
চতুর্থ কিস্তিতে প্রায় ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করার কথা রয়েছে। শর্তের অন্যতম হচ্ছে জুন শেষে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। একই সময়ে কর-রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।
কাঠামোগত মানদণ্ডের মধ্যে বাংলাদেশকে গত জুন মাসে পাঁচটি শর্ত পূরণের শর্ত দেওয়া হয়। এর বেশির ভাগই রাজস্ব আদায়সংক্রান্ত। শর্তের অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত আয়কর, করপোরেট আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের ক্ষেত্রে দেওয়া ছাড়ের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে বাংলাদেশ।
এমআই