ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বিএনসিসি প্লাটুন কুষ্টিয়া শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পঞ্চমতম দিনের মতো দায়িত্ব পালন করছে। সেনাপ্রধানের বন্ধের আদেশ না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আজ সর্বমোট ৭১ জন বিএনসিসি ক্যাডেট ট্রাফিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
সোমবার (১২ আগষ্ট) সকাল ৯ টায় ইবি সেনা প্লাটুনের সিইউও আলী আহসান মুহাম্মদ জুবাইর নেতৃত্ব কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস, মজুমপুর, বকচত্বর, সিঙ্গার মোড়, বড় বাজার, কলেজ মোড়, হসপিটাল মোড়সহ নানা স্থানে দায়িত্ব পালন করছে ক্যাডেটবৃন্দ। কুষ্টিয়ার এ স্থানসমূহ সবসময় যানজটপূর্ণ থাকে।
এ কার্যক্রমে সিইউও এর আদেশে ইবি সেনা প্লাটুনের সার্জেন্ট সুলতান মাহমুদের তত্ত্বাবধানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন সেনা শাখা, নৌ শাখা, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ক্যাডেটগন দায়িত্বে নিযুক্ত হন।
এসময় এক পথচারী বলেন, দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী ব্যতীত কেউ তেমন মাঠে নাই। কিন্তু দ্বিতীয় সারির সামরিক বাহিনী হিসেবে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা জনমনের কাছে প্রশংসানীয়। যেহেতু তারা শিক্ষার্থী এবং ট্রাফিক নীতিমালা ও কাজ সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা না থাকলেও তারা যথেষ্ট পরিশ্রম ও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ইবি সেনা প্লাটুন সার্জেন্ট সুলতান মাহমুদ বলেন, কুষ্টিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সাতটি পয়েন্টে আমরা বিএনসিসি প্লাটুন তথা কুষ্টিয়ার ক্যাডেটরা এই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত আছে। এই স্থানসমূহ সবসময় যানজটযুক্ত থাকে। আমরা এটাকে কমাতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। এবং দেশের শৃঙ্খলা যতক্ষণ না নিয়ন্ত্রণে আসবে ততক্ষণ আমরা এ কাজ চলমান রাখবো।
ইবি সেনা প্লাটুনের সিইউও আলী আহসান মুহাম্মদ জুবাইর অর্থসংবাদকে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনসিসি ক্যাডেটরা কাজ করতে সদা সবর্দা বদ্ধপরিকর। সে অবস্থান থেকে দেশের এই ক্রান্তিকালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিতে বিএনসিসি ক্যাডেটরা দীর্ঘদিন পর দেশের এরকম একটা সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে। জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে বিএনসিসি মহাপরিচালকের আদেশে আমরা আমাদের স্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং জনসাধারণের কাছে বিশেষ অনুরোধ তারা যেন দেশের আইন শৃঙ্খলার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে চলাচল করেন, সাথে সাথে সকলের সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা কামনা করি।
এমআই/সাকিব