আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকোর সব পরিচালকের পদত্যাগের দাবি তুলেছে ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি শাহ এ সরোয়ারের আমলে অন্যায়ভাবে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহাল দাবি তুলছে।
রবিবার (১১ আগস্ট) ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় প্রায় ২০০ শতাধিক লোক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালান করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এর সহযোগী ছিল সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার (বর্তমান উপদেষ্টা)। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরির চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে।
বিক্ষোভকারীরা আজকের কর্মসূচি থেকে ৯ দফা দাবি তুলেন।
১. মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যে সব কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে চাকরির হইতে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের অনতিবিলম্বে চাকুরীতে পূনর্বহাল করতে হবে। যাহারা ইতোমধ্যে চাকরির বয়স অতিক্রম করেছেন প্রমোশন ও ইনক্রিমেন্টসহ তাদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
২. দুর্নীতিবাজ সাবেক এমডি (বর্তমান এডভাইজার) শাহ আলম সরোয়ার ও তার দোসরদেরকে চাকুরীচ্যুত করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।
৩. যে সব কর্মকর্তা কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে প্রমোশন পায়নি, তাদেরকে উচ্চতর গ্রেডে প্রমোশন দিতে হবে।
৪. পারফরমেন্স বোনাস বাতিল করে প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারীকে তাদের বেসিক বেতনের অনুযায়ী বার্ষিক প্রফিট বোনাস দিতে হবে।
৫. বর্তমান আইন বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বার্ষিক পারফরমেন্স নির্ধারণ করতে হবে।
৬. লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধ্যবীদেরকে প্রমশন দিতে হবে। প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত একটি প্রমশন দিতে হবে।
৭. দুর্নীতির সাথে যেসব নির্বাহী/ অফিসার / জড়িত সেসব দুর্নীতিবাজদের চাকুরীচ্যুত করতে হবে।
৮. ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ঋণ পূণঃতফসিল করা যাবে না এবং ঋণের সুদ মওকুফ করা যাবে না। খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. ব্যাংকে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মাঝে যে ভয়ের সংস্কৃতি চালু রয়েছে তা দূর করে ব্যাংকে স্বাধীন সার্ভিস তথা কর্মচারী বান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে।