নোয়াখালীর ১০ থানার মধ্যে ৮ থানায় স্বল্প পরিসরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কার্যক্রম শুরু হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি চলমান পরিস্থিতির আলোকে নোয়াখালীর জেলায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে জনমনে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে থানাসমূহে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় থানাসমূহে নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল ও স্ট্যাটিক টহল পরিচালনাসহ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলার ১০ থানার মধ্যে ৮ থানায় কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। জননিরাপত্তা হানিকর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর সহায়তায় জরুরি মোবাইল সেবা চালু করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানায় সেবা নিতে আসা রাহেলা বেগম বলেন, মানুষের ভেতর যেমন ভালো খারাপ আছে তেমন পুলিশের মধ্যেও ভালো খারাপ আছে। তবে প্রকৃত অর্থে পুলিশ আমাদের বন্ধু। আমরা সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আমরা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তবে পুলিশ থাকলে এত ক্ষতি হতো না। থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, পুলিশ জনতার বন্ধু। কিন্তু আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কথার বাইরে যেতে পারি না। আমার কোম্পানীগঞ্জ থানায় কোনো ছাত্রের সঙ্গে পুলিশের মতবিরোধ হয়নি। আমাদের কাছে সবাই সমান। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের ফলে নোয়াখালীতে শৃঙ্খলা এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে থানায় পুলিশ কাজে যোগদান করায় মানুষ আরও বেশি খুশি হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, নোয়াখালী জেলায় আমরা শুরু থেকেই ছাত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। আমি একা গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও সুন্দরভাবে কর্মসূচি শেষ করেছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় অগ্নিসংযোগ হয়েছে। সোনাইমুড়ী থানায় চার পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা এই দুই থানা ছাড়া বাকি ৮ থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।