অন্যান্য
সংখ্যালঘুদের জন্য হটলাইন চালু করবে সরকার
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় একটি হটলাইন চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় একটি হটলাইন চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
রবিবার (১১ আগস্ট) থেকে হটলাইন চালু হবে।
খালিদ হোসেন বলেন, কোথাও যদি সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটে হটলাইনে জানালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, উপাসনালয়ে হামলার খবর আসছে। সরকারকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে গুজবও যুক্ত হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, দেশের জনগণ বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জান-মাল, ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে বর্তমান সরকার সচেষ্ট ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা দুর্বৃত্তপনা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করবে।
খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জাতিগত ও ধর্মীয়ভাবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে দেশ। এটি আমাদের সবসময় ধরে রাখতে হবে। এর অন্যথা হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সিআইবি রিপোর্টে গোঁজামিল বন্ধের নির্দেশ
একটি কোম্পানির একাধিক পণ্য ও সেই পণ্য তৈরির জন্য একাধিক কারখানা থাকতে পারে। কিন্তু কোন পণ্যের কোন কারখানার জন্য ঋণ নেওয়া হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করছে না অনেক ব্যাংক। এখন থেকে সবকিছু ঠিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশে কার্যরত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পৃথক পৃথক স্থানে একই বা ভিন্ন খাতের পণ্যের জন্য একাধিক ঠিকানায় স্থাপিত একটি কোম্পানির বিভিন্ন ইউনিটের নামে ঋণ দিয়েছে। সিআইবি রিপোর্টিং এ স্বচ্ছতা আনার জন্য ঋণগুলো রিপোর্টিং করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) তে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি একই বা ভিন্ন খাতের পণ্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য একাধিক ঠিকানায় ইউনিট বা কারখানা স্থাপন করলে সেই ইউনিট বা কারখানাগুলোকে আরজেএসসির যে নামে নিবন্ধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে হুবহু সেই নামেই সিআইবি ডাটাবেজে রিপোর্ট করতে হবে।
উদাহরণ হিসাবে বলা হয়, ‘ক লিমিটেড’ নামক একটি কোম্পানি আরজেএসসিতে নিবন্ধিত। এই কোম্পানি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পণ্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য ইউনিট/কারখানা স্থাপন করলে যেমন ‘ক লিমিটেড (ইউনিট-১)’, ‘ক লিমিটেড (ইউনিট-২)’, ‘ক লিমিটেড (ইউনিট-৩)’, ‘ক লিমিটেড (গার্মেন্টস ইউনিট)’ ইত্যাদি নামীয় ইউনিটগুলোকে ‘ক লিমিটেড’ কোম্পানির আওতাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে গণ্য করে তদনুযায়ী সিআইবি ডাটাবেইজে রিপোর্ট করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয় ‘এক্স ইউনিট ২ লিমিটেড’ এবং ‘এক্স লিমিটেড ইউনিট ২’ দুইটি ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি হিসেবে আরজেএসসি তে নিবন্ধিত হলে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি হিসেবেই সিআইবি ডাটাবেইজে রিপোর্ট করতে হবে।
সিআইবি এর পূর্ণরূপ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো। সিআইবি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত একটি নীতিমালা, যার মাধ্যমে কোনো গ্রাহকের ঋণ গ্রহণের সময় ওই গ্রাহক পূর্বে কোনো ঋণ নিয়েছিল কি না তা দেখা হয়। ঋণ নিয়ে থাকলে সময়মতো ঋণের কিস্তি বা পুরো ঋণ পরিশোধ করেছে/করছে কি না তাও দেখা হয়। যাতে ঋণখেলাপি না হয় এবং ঋণের প্রবাহ যথাযথ থাকে। এতে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ হ্রাস পায়। কোনো গ্রাহক নতুন কোনো ঋণ নিতে চাইলে ঋণের আবেদনের তথ্যাবলী সিআইবি-এর ওয়েবসাইটে ঢুকে পূরণ করলে গ্রাহকের অতীত ইতিহাস পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা এক মালিকানা ব্যবসায়, বা অংশীদারি ব্যবসায় অথবা কোম্পানির বেলায় ঋণ সম্পর্কিত রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান খুব সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে, ঋণ গ্রহীতার আবেদন অনুমোদন করা হবে, না কি বাতিল করা হবে। খেলাপি ঋণ কমানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৯২ সালের ১৮ আগস্ট সিআইবি সিস্টেম চালু করে। ২০১১ সালের ১৯ জুলাই থেকে এটি অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ভারতীয় ঋণে সব প্রকল্প চলমান রাখবে বাংলাদেশ
ভারতীয় ঋণে নির্মিত দেশের সব প্রকল্প চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার ভারতে চলে গেলেও দ্রুত ফিরে আসবে এবং কাজ শুরু হবে। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
অতিরিক্ত ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানোয় মূল্যস্ফীতি: অর্থ উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আপনারা তো জানেন, মূল্যস্ফীতি কেন বাড়ল। টাকা ছাপিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছে। এগুলোর প্রভাব আছে। সেগুলো কমিয়ে আনতে গেলে আরও সময় লাগবে।
৬০ হাজার কোটি টাকা কত সময়ে ছাপানো হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি উপদেষ্টা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে টাকা ছাপানোর বিষয়ে কথা বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে এর প্রভাব দৃশ্যমান নেই– সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি একটু একটু করে কমছে। আপনারা হয়ত সেটা বুঝতে পারছেন। সাপ্লাই সচল রাখতে আমরা আরও উদ্যোগ নিচ্ছি। সাপ্লাইয়ে কোনো কমতি হবে না। বাজারজাতকরণের ব্যাপারে আমাদের ভোক্তা অধিকার কাজ করবে।
নিত্যপণ্যের বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর পরের মাস অগাস্টে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ঢাকার আশপাশের ছয় ইউএনওকে বদলি
ঢাকার আশেপাশের ৬ উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) বদলি করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তাদের সবাইকেই বিভিন্ন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ইউরোপ ভ্রমণে আসছে বড় পরিবর্তন
ইউরোপ ভ্রমণে বড় পরিবর্তন আসছে। প্রথমবারের মতো ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেইস রিকগনিশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ইইউভুক্ত দেশগুলো।
আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেনজেন এলাকার ২৯টি দেশের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নতুন পাসপোর্টে স্ট্যাম্প ইস্যু হবে না। নতুন স্বয়ংক্রিয় আগমন এবং বহির্গমন সিস্টেম (ইইএস) কার্যকর হয়।
ইইএসের ফলে ইইউ নাগরিকদের পাসপোর্ট আগমন এবং বহির্গমনে আর স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হবে না। মূলত অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় দুটি পদ্ধতি চালু হচ্ছে। প্রথমটি হলো ইলেকট্রনিক এন্ট্রি অ্যান্ড এক্সিট সিস্টেম (ইইএস), যা ইইউ নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং নন-ইইউ নাগরিকদের জন্য ইউরোপিয়ান ট্রাভেল ইনফরমেশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সিস্টেম (ইটিআইএএস) নামে অভিহিত হবে।
আমেরিকার ইএসটিএর আদলে ইটিআইএএসের মাধ্যমে ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৬০টি দেশ ভিসা ওয়েভারের সুযোগ পাবে। মাত্র ৭ ইউরো বা ৬ পাউন্ড খরচ করে কয়েক মিনিটে অনলাইনে ইটিআইএএস আবেদন সম্পূর্ণ করে ইউরোপ ভ্রমণের সুযোগ পাবে। নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে ছয় মাসের ট্রানজেকশনাল সময় হিসেবে বিবেচিত হবে। এটির মেয়াদ হবে কমপক্ষে তিন বছর বা পাসপোর্টের মেয়াদ পর্যন্ত।
ইইএস একটি নতুন ইলেকট্রনিক সিস্টেম, যা আগমনের সময় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পাস করার সময় পাসপোর্টে শারীরিক স্ট্যাম্পিং প্রতিস্থাপন করবে। উভয় ব্যবস্থার লক্ষ্য ইউরোপীয় নিরাপত্তা জোরদার করা, শেনজেন এলাকায় প্রবেশ এবং প্রস্থানকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা।