কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলা হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আসিফ বলেন, ‘শহীদ মিনার থেকে আমাদের এক দফা ঘোষণা হয়েছিল। এই শহীদ মিনার স্বাধীনতার লড়াইয়ের শুরু দিকের একটি প্রতীক। বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদরা তাদের রক্ত দিয়ে আমাদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছিলেন। আমরাও ২৪ সালে সহস্রাধিক ছাত্রজনতার রক্ত দিয়ে আবারও স্বাধীনতার ফিরে পেয়েছি। যেটাকে দেশের ছাত্রজনতা বলছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সেই মাহাত্মের জায়গা থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যে দাবিগুলো ছিল, সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হব। অন্তর্বর্তী সরকারে ২৫-৮৫, তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ হয়েছে, এটি বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে। বাংলাদেশের প্রকৃত যে চাওয়া পাওয়া বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আশা করছি।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অন্যায় অনিয়মগুলো চলে আসছিল, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের দীর্ঘ লড়াই রয়েছে। আমরা পাঁচ ছয় বছর ধরে ক্যাম্পাসে সেগুলো নিয়ে একটিভিজম করেছি। আমাদের নিজেদের সুস্পষ্ট কিছু দাবি আছে, যেহেতু এখন আমরা সরকারে আছি সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেব।’
কে কোন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাবেন, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি জানিয়ে আসিফ বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রীয় ভবন যমুনায় সভা করব। আশা করি আজই এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীতি হতে পারব। আমরা প্রাথমিকভাবে গরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং একই সঙ্গে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।’
হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করাই প্রথম দায়িত্ব উল্লেখ করেন আসিফ। তিনি বলেন, ‘শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দেয়ার জন্য এবং হাসপাতালের বেড়ে কাতরানো আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেব। রিফর্ম গুলো করে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে একটি সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় ফেরাব। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এই সরকারের সময় শেষ হবে।’
এমআই