সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল থেকে ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে আটক অনেকেই থাকতে পারেন। এমন তথ্যে অনেক স্বজন ডিবি কার্যালয়ের গেটে ভিড় জমায়। পরে সেনাবাহিনীর সহয়তায় সেখানে প্রবেশ করে সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মী।
কার্যালয়ের ডিবিপ্রধানের ভবনের নিচতলায় দেখা যায় মানুষদের ধরে এনে আটকে রাখার কয়েকটি কক্ষ। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয় কেউ যদি আটকা থাকেন তবে সাড়া দেন; সেনাবাহিনী আপনাদের উদ্ধার করতে এসেছে। তবে সেখানে কেউ সাড়া দেয়নি। অর্থাৎ সবগুলো কক্ষ ছিল ফাঁকা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানায়, তাকে এক সময় ডিবি ধরে এনে এই কক্ষে আটকে রাখে। উলঙ্গ করে নির্যাতন করে মেয়েদের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
পরে ডিবি অফিসের একটি কক্ষের আলমারি খুলে পাওয়া যায় ১৩ লাখ নগদ টাকা। স্কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বান্ডিলে ৮ লাখ, একটি বান্ডিলে ৩ লাখ ও আরেকটি বান্ডিলে ২ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের এসআই সুজা নামের একজন আলমারির ড্রয়ার খুলে টাকাগুলো নিজের বলে দাবি করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, এই টাকা তার। তিনি ব্যাংক থেকে উঠিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ি যাবেন বলে তিনি টাকাগুলো নিতে বুধবার (৭ আগস্ট) ডিবি কার্যালয়ে যান। পরবর্তীতে টাকাগুলো নিয়ে তিনি বেরোতে পারেননি।