নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হলেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ভারতের পেট্রাপোল সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ করপোরেশন (সিডব্লিউসি) কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক পাঠায়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশের মূল গেট বন্ধ ছিল।
সূত্র জানায়, বন্দরে পণ্য খালাসের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক নেতাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সমর্থক হওয়ায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ও অনেকেই বেনাপোল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে গেট খুলে দিলে সীমিত আকারে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড চলছে।
বেনাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু করার ব্যাপারে ওপারের পেট্রাপোলের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তীর সঙ্গে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কথা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের অবস্থা ভালো হলে বুধবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি চালু করবেন। কিন্তু তারা কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে পাঠাননি। বাংলাদেশ থেকেও রপ্তানি পণ্যবাহী কোনো ট্রাক ভারতে যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে পেট্রাপোলের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, পণ্যবাহী ট্রাক ও চালকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। বাংলাদেশ এবং ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ফের শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় ও ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানান বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, তারা আমদানি-রপ্তানি চালু করার কথা বললেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোনো ট্রাক ছাড়েনি। বন্দরের অভ্যন্তরে কিছু পণ্য লোড-আনলোড চলছে। বাংলাদেশের আমদানিকারকরা নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো পণ্য খালাস না নেওয়ায় বন্দরে পণ্যজট শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত পণ্য খালাস না হলে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য রাখার কোনো জায়গা নেই।