আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে তিনি রাজশাহী ছেড়ে ভারতের উদ্দেশ্যে চলে গেছেন বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ওই দিন (৫ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ চলাকালে লিটন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এই সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী খুন হন। এ ছাড়া যুবলীগের গুলিতে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ আহত হন শতাধিক।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান সোমবার শেখ হাসিনা পতনের দিনগত রাতেই দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। দেশের পরিস্থিতি ভালো না এটি আঁচ করতে পেরে আগের দিন রোববার (৪ আগস্ট) লিটনের স্ত্রী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহিন আকতার রেনীসহ ছোট মেয়েকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দেশের পরিস্থিতি যখন ভালো ছিল তখন লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা ও তার স্বামী রেজভী আহমেদ ভূইয়া থাইল্যাণ্ডে চলে যায়। এরপর থেকে তারা সেখানেই রয়েছে। আর গত ৪ আগস্ট লিটনের স্ত্রী ও ছোট মেয়ে ভারতে চলে যান। লিটনসহ যুবলীগের দুই-একজন নেতা যান ৫ আগস্ট রাতে।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে জেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।