শিক্ষার্থীদের দেশ কাঁপানো আন্দোলনে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভয়াবহ বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। অনেকে সুযোগ বুঝে দেশ ছাড়তে পারলেও আটকে পড়া অনেক এমপি-মন্ত্রী ও অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে তিনি প্রতিবেশী ভারত সীমান্তের একটি স্থলবন্দর দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব জানান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার মোবাইল ফোন দুটি বন্ধ করে দেশত্যাগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল থেকে তাকে ঢাকায় পাওয়া যায়নি। সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী রাজধানীর বনানীর বাসায় অবস্থান করেন। তবে রাতেই তার দেশত্যাগ করার কথা ছিল বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জনসমাগম এড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই নিজ বাসা বা সরকারি বাংলোতে না গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা, যারা ঢাকায় রয়েছেন বা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেননি, তারা নিজ নিজ বাসায় না গিয়ে স্বজনদের বাসায় অবস্থান করছেন।