ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটা উদ্বেগজনক নয় যে ১২ থেকে ১৩ হাজার ভারতীয়দের সরিয়ে নিতে হবে।
ভারতীয় সংসদে একটি সর্বদলীয় বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময় জয়শঙ্কর বলেন, সরকার বিরোধীদের বিক্ষোভে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পরে ভারত সরকার বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে।
বৈঠকে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের মত বিরোধী দলীয় নেতাদের পাশাপাশি সমস্ত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) মিত্র এবং বেশিরভাগ বিরোধী দল উপস্থিত ছিলেন। তবে আম আদমি পার্টি (এএপি) দাবি করেছে, তাদেরকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরির জন্য বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি নিয়ে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৪ হাজার ভারতীয়, যাদের বেশিরভাগই ছাত্র তারা ভারতে ফিরে এসেছেন।
জয়শঙ্কর বলেন, শেখ হাসিনার সাথে ভারত সরকারের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। “সরকার হাসিনাকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য কিছু সময় দিতে চায়” বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি অন্তর্বর্তী সরকার দ্বারা শাসিত হবে। সেহেতু একটি মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশল থাকা উচিত।
নোবেলজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশে একটি স্পষ্ট ভারত বিরোধী মনোভাব দেখা যাওয়ার ব্যাপারে জয়শঙ্কর বলেন, “কিছু জায়গায় এটা দেখা গেছে। কিন্তু যে সরকারই আসুক না কেন ভারতের সাথে আলোচনা করবে।”
এই বছরের শুরুতে শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে বাংলাদেশে ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণা জোরদার হয়।