বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৫ আগস্ট) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে সত্যিকারভাবে যুক্তরাষ্ট্র কী অনুভব করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘গত কয়েকদিনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী জনগণের ওপর দমন-পীড়নকে রোধ করেছে এবং এই খবর যদি সত্যি হয়, তবে সেটিকে সাধুবাদ জানাই, অনুপ্রাণিত করি।’
ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, কোনো বিষয়ে জনগণের প্রতিবাদ জানানোর আইনগত অধিকার রয়েছে। জনগণের অধিকার রয়েছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার। আমরা যেকোনো ধরনের হিংসাত্মক দমন-পীড়নের বিরোধী। তাই যদি দেশটির সেনাবাহিনী দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তবে তা হবে ইতিবাচক ঘটনা। আমরা সেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চাই। আমরা দেখতে চাই, বাংলাদেশের জনগণ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করবে এবং সেই আশায় আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।’
বাংলাদেশে মানবিক ও সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে কিনা, একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা সরকারি ঘোষণায় জানতে পেরেছি, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। বিদেশি আর্থিক সহায়তার বিষয়ে বলতে পারি দ্বিপাক্ষিক সহায়তা হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে ২০২৩ সালের অর্থবছরে ২১২ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছি। এসব সহায়তা দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিক, উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যখাতে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য এবং আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চলমান রাখতে এই সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’
এমআই