আন্তর্জাতিক
বিশ্ব গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। বোন শেখ রোহানাকে নিয়ে দেশও ছেড়েছেন। আজ সোমবার এমন খবর জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
বিবিসির খবর, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। বিবিসির স্থানীয় প্রতিনিধির বরাতে এ খবর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিবিসি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ‘নিরাপদ আশ্রয়ের’ জন্য দেশ ছেড়েছেন। সঙ্গে শেখ রেহানাও আছেন।
আল জাজিরা বলছে, একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। তাঁর সরকারি আবাস গণভবনে হাজারো মানুষ ঢুকে পড়েছে।
এএফপির খবরেও বোনকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এএফপি বলেছে, হাজারো মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়েছে।
রয়টার্স বলছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন। বাংলাদেশও ছেড়ে গেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সংবাদপত্র আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোন রেহানাকে নিয়ে তিনি ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছেন। তাঁকে কপ্টারে করে ‘নিরাপদ’ আশ্রয়ের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারটি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার উদ্দেশ্যে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন এয়ার কমোডর আব্বাস। তিনি ১০১ স্কোয়াড্রনের সদস্য।
একটি সূত্রের উল্লেখ করে খবরে বলা হয়, তার আগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয় ইস্তফা দেওয়ার জন্য। ৪৫ মিনিট সময় তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বলে একটি সূত্রের দাবি। তবে অন্য একাধিক সূত্রের দাবি, পুরো বিষয়টিই হয়েছে সেনাবাহিনী এবং দিল্লির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে। তার পরেই হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কলিং ভিসা চালু করলো মালয়েশিয়া, যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
প্লান্টেশনে বিদেশী কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ‘চাহিদাপত্র’ সত্যায়ন করার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বন্ধ থাকা কলিং ভিসা আবারো চালু করল দেশটি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় মালেশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে তাদের প্ল্যান্টেশন সেক্টরে বিদেশী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের কোটা অনুমোদন করা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্ল্যান্টেশন সেক্টরের চাহিদাপত্র ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সত্যায়ন করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য উল্লেখিত বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া তথ্যাদি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য প্রায় ১৫ রকমের তথ্যাদি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির অনুমোদনপত্র (কমপক্ষে কোম্পানির একজন কর্মচারী হতে হবে ম্যানেজার পর্যায়ে), সত্যায়ন ফি’র মূল ব্যাংক স্লিপ, শ্রমিকদের সবশেষ বেতন স্লিপ (চার/পাঁচজন শ্রমিকের নমুনা বেতন স্লিপ), কোম্পানির পটভূমি তথ্যের একটি প্রোফাইল যেখানে উল্লেখ থাকবে বিদ্যমান শ্রমিকের সংখ্যা (দেশী ও বিদেশী), শ্রমিকদের দুই/তিনজনের ফোন নম্বর, কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট (বিগত তিন মাসের) যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে দুই লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
এছাড়াও বিদেশী শ্রমিক ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের সকসো নথি (বিদ্যমান কর্মীদের নমুনা নথি), বিদেশী কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্জিকা এক স্কিম (এসপিআইকেপিএ) (এসকেএইচপিপিএ)-এর নথি (বিদ্যমান শ্রমিকদের নমুনা নথি), বিদ্যমান শ্রমিকদের আবাসন সম্পর্কে জেটিকে অনুমোদিত সার্টিফিকেট, জমির মালিকানার দলিল/জমি ইজারা দলিল, প্রতিশ্রুতি/গ্যারান্টি পত্র, পরিচালকের স্বাক্ষরিত ডিমান্ড লেটার, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট (বিআরএ) এবং কোম্পানির মধ্যে চুক্তি, মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা অনুমোদন পত্রসহ সকল নথির দুই সেট তৈরি করে এক সেট মূল এবং এক সেট অনুলিপি হিসেবে দিতে হবে।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিমের সাথে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল তাকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেও সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্তে উৎফুল্ল মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি
দিল্লির রাজনীতিতে আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগের পর, দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আতিশি মার্লেনার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আপের পরিষদীয় দলের বৈঠকে দিলীপ পাণ্ডের প্রস্তাবে আতিশির নাম সর্বসম্মতভাবে সমর্থিত হয়। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা খুব শিগগিরই আসবে।
বর্তমানে দিল্লি সরকারের শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন আতিশি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন তিনি। দিল্লির স্কুলগুলোতে শিক্ষার মান পরিবর্তনের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছেন আতিশি।
দুর্নীতির মামলায় সিসোদিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কালকাজির ৪৩ বছর বয়সী আতিশি। কেজরিওয়াল এবং সিসোদিয়া যখন কারাগারের ছিলেন, তখন আতিশি এএপি পার্টির সব ধরনের ইভেন্ট এবং মিডিয়াগুলোতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
এর আগে গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দলীয় সভায় হঠাৎ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন। মানুষের রায়ে যদি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলেই কেবল ওই চেয়ারে আবার বসবেন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছয়মাস জেলে ছিলেন কেজরিওয়াল। কয়েকদিন আগেই ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তারপর রোববার প্রথমবার দলীয় কার্যালয়ে যান এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা দেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বুধবার বিশ্বের আর্থিক খাতগুলো তাকিয়ে থাকবে মার্কিন ফেডের দিকে
পুরো বিশ্বের আর্থিক খাত এখন তাকিয়ে আছে ফেডারেল রিজার্ভের দিকে। সুদের হার কমানোর বিষয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী বুধবার কী সিদ্ধান্ত নেয়, নজর সেদিকেই। এই বহুল প্রত্যাশিত পদক্ষেপ শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, তার প্রভাব থাকবে পৃথিবীজুড়েই। এমনকি ডলার তেজি থাকবে, নাকি তা তেজ হারাবে, তা–ও নির্ভর করবে ফেডের সিদ্ধান্তের ওপর।
মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ফেড দীর্ঘ সময় ধরে নীতি সুদহার বাড়িয়েই চলছিল। অনেক বছরের মধ্যে এখন তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছরের মধ্যে নেওয়া প্রথম পদক্ষেপে সুদের হার কতটা কমানো হবে, তা নিয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে চলতি বছরের শেষে রয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি বাড়তি উদ্বেগের বিষয়।
সোসাইটি জেনারেলের এফএক্স অ্যান্ড রেটস বিভাগের করপোরেট গবেষণা বিষয়ক প্রধান কেনেথ ব্রো বলেন, ‘আমরা জানি না এই ধারা কেমন হবে। এটি কি ১৯৯৫ সালের মতো হবে, যখন ৭৫ ভিত্তি পয়েন্ট করে হার কমানো হচ্ছিল। নাকি এটা ২০০৭–০৮ সালের মতো হবে, যখন ৫০০ ভিত্তি পয়েন্ট কমানো হয়েছিল।’
দেখা যাক বিশ্বের আর্থিক বাজারে প্রত্যাশা কী:
১. নেতৃত্বকে অনুসরণ করা
গত বসন্তে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ছিল। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তখন এই প্রশ্ন ছিল যে ফেড যদি নীতি সুদ না কমায়, তাহলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার কতটা কমাতে পারবে। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যে সুদের হার কমাচ্ছে, তা দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে এখন স্বস্তি দেবে।
ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে যাচ্ছে বলে বাজারে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যে অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নীতি সুদ কমাতে উৎসাহিত করেছে। তবে ইউরোপে ফেডের তুলনায় সুদের হার হ্রাস কম হবে। কারণ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অব ইল্যান্ড মূল্যস্ফীতির বিষয়ে সতর্ক অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
বন্ড বাজারের জন্যও নীতিসুদ কমানো আশীর্বাদ হতে পারে। ২০২৩ সাল শেষের পর এই প্রথম বারের মতো মার্কিন, জার্মান ও ব্রিটিশ সরকারি বন্ডের বিপরীতে সুদ আয় কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২. স্বস্তির জায়গা
উদীয়মান দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য মার্কিন সুদের হার কমানোর বিষয়টি বেশ স্বস্তির ব্যাপার হবে। এর ফলে তারা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য আরও বেশি সমর্থন জোগাতে পারবে। রয়টার্স যে ১৮টি উদীয়মান দেশের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছে, তাদের অর্ধেকই এরই মধ্যে সুদের হার কমাতে শুরু করেছে। তারা এই কাজ করছে ফেডের পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অনিশ্চয়তার বিষয়টিও তাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে রয়েছে। বিএনপি পারিবাসের কর্মকর্তা ট্রাং নগুয়েন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে। রাজস্ব নীতির যে ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তা সুদের হার কমানোর এই কালচক্রকে জটিল করে তুলেছে।
৩. ডলারের শক্তিক্ষয়
যেসব দেশ আশা করছে যে মার্কিন নীতিসুদ কমানোর ফলে ডলারের শক্তি কমবে এবং তাদের মুদ্রা শক্তিশালী হবে, তাদের সেই আশা পূরণ না–ও হতে পারে। বিনিয়োগ ব্যাংক জে পি মর্গান স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে ফেডের সুদের হার কমানোর সর্বশেষ চার কালচক্রের তিনটির ক্ষেত্রেই প্রথম দফায় ডলার শক্তিশালী হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সুদহার কমানো অন্যদের জন্য কতটা আপেক্ষিক, তার ওপর ডলারের দামের বিষয়টি নির্ভর করবে। ডলার যদি সত্যিই কম আয়ের মুদ্রা না হয়ে ওঠে, তাহলে অ–মার্কিন বিনিয়োগকারীদের কাছে এর আবেদন থেকেই যাবে।
তবে এশিয়ার অনেক দেশ মার্কিনদের আগেই সুদের হার কমিয়েছে। এর ফলে জুলাই ও আগস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার ওন, থাইল্যান্ডের বাথ ও মালয়েশিয়ার রিঙ্গিতের দাম বেড়েছে। আর ডলারের বিপরীতে চীনের ইউয়ানের দাম বছরজুড়ে যতটা কমেছিল, সেই ঘাটতি ওই সময়ে পূরণ হয়ে যায়।
৪. ইকুইটির অগ্রযাত্রা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকার কারণে অর্থ বিনিয়োগ হোঁচট খেয়েছিল। মার্কিন সুদহার কমলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হবে, ফলে ইকুইটি বিনিয়োগ আবার বাড়তে পারে। আগস্টে দুর্বল মার্কিন কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান প্রকাশের পরের তিন দিনে বিশ্বে শেয়ারবাজারের ৬ শতাংশ পতন হয়েছিল।
৫. উজ্জ্বল দিন
ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমালে মূল্যবান ও মৌলিক ধাতু সুবিধা পেতে পারে। কম সুদের হার ও দুর্বল ডলার বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ধাতু কিনতে উৎসাহিত করতে পারে। স্বর্ণের মতো মূল্যবান ধাতুর দাম বাড়তে পারে। দেখা গেছে বন্ড থেকে আয় কমে গেলে এর দাম বাড়ে, কারণ বিনিয়োগকারীরা সোনা কেনেন।
সোনার দাম এখন রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের জন রিড বলেন, বিনিয়োগকারীদের সোনা কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দ্বিতীয় দফা সুদহার বাড়ালো রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে সুদহার ১৮ থেকে বাড়িয়ে ১৯ শতাংশ করেছে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির এ আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়, পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনের ক্ষমতাকে অতিক্রম করে চলেছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা। এ কারণে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ল সুদহার। খবর আরটি।
বিবৃতিতে আরো বলা হচ্ছে, জুলাইয়ে চলতি বছরের জন্য ৬ দশমিক ৫ থেকে ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা সরকারের লক্ষ্য ৪ শতাংশের দ্বিগুণেরও বেশি।
এর আগে জুলাইয়ে সুদহার ২০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল রাশিয়া। ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) পাঁচ দফা সুদহার বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ থেকে ১৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
অক্টোবরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী সভায় সুদহার আরেক দফা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এক কারণ হিসেবে ‘একগুঁয়ে মূল্যস্ফীতি চাপ’কে দায়ী করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাশিয়ায় মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা এখনো শুরু হয়নি।
সুদহার ২০ শতাংশ বা এর ওপরে উন্নীত হতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান এলভিরা নাবিউলিনা জানান, মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশে ফিরিয়ে আনতে ব্যাংক যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত।
এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) জিডিপি এবং জুলাই-আগস্টের অর্থনৈতিক সূচক বিশ্লেষণ করে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হয়েছে। এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে সীমিত সরবরাহ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার পতন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে লিটারে পেট্রলের দাম কমলো ১০ রুপি
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম গত দুই সপ্তাহে কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সরকার পেট্রলের দাম লিটারে ১০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পেট্রলিয়াম পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
দেশটিতে পেট্রলের পাশাপাশি হাইস্পিড ডিজেলের দাম ২৬২ দশমিক ৭৫ রুপি থেকে কমিয়ে ২৪৯ দশমিক ৬৯ রুপি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি লিটারে দাম কমানো হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
তাছাড়া কেরোসিনের দাম ১৬৯ দশমিক ৬২ রুপি থেকে কমিয়ে ১৫৮ দশমিক ৪৭ রুপি করা হয়েছে। লাইট ডিজেলের দাম ১৫৪ দশমিক শূন্য ৫ রুপি থেকে কমিয়ে ১৪১ দশমিক ৯৩ রুপি করা হয়েছে।
পেট্রল প্রধানত ব্যক্তিগত পরিবহন, ছোট যানবাহন, রিকশা ও দুই চাকার গাড়িতে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ জ্বালানির দাম মধ্যম ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির সদস্যদের বাজেটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।
অন্যদিকে পরিবহনখাতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উচ্চ গতির ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল।