বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ চট্টগ্রামে দলটির চার নেতার বাসায় হামলা ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একই দিনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনেও হামলা হয়।
শনিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মেহেদীবাগের বাসায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এছাড়া নগরীর বাদশাহ মিয়া রোডে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের চট্টেশ্বরীর বাসায় এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর পাঁচলাইশের বাসায় হামলা চালানো হয়। এসময় ডা. শাহাদাতের বাসার পার্কিংয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে আমীর খসরু, মীর নাছির, ডা. শাহাদাত এবং এরশাদ উল্লাহর বাসায় হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। বাদশাহ মিয়া রোডের ডা. শাহাদাতের বাসার পার্কিংয়ে ১০-১২টি গাড়িতে আগুন দেয় হামলাকারীরা। এরমধ্যে দুটি গাড়ি ডা. শাহাদাতের।
ডা. শাহাদাত হোসেন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার নিজ ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে গাড়ি পোড়ার ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এ আগুন দিয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা মেহেদীবাগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসভবনের গেটে আগুন দেয়। এরপর বাসায় ভাঙচুর চালায়। এছাড়া পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার এরশাদ উল্লাহর বাসার সামনে রাখা একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, শিক্ষামন্ত্রী, চসিক মেয়রের বাসায় হামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। জামায়াত-শিবিরসহ তৃতীয় পক্ষ এ হামলা চালাতে পারে। তারপরও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিএনপি নেতাদের বাসায় হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য বিএনপি নেতাদের বাসাবাড়িতেও তৃতীয় কোনো পক্ষ হামলা চালাতে পারে। তদন্ত ছাড়া এ মুহূর্তে বলা যাবে না। পুলিশ এসব বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে।