নোয়াখালীত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও তাদের সমর্থকরা জেলা শহর মাইজদী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ও তাদের সমর্থকরা বিকেল ৪টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা সেখানে কোনো বাধা ছাড়া ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে।
আ.লীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানায়, হামলার সময় সেখানে কোনো দলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল না। আন্দোনকারীরা চলে গেলে পরে দলীয় কিছু নেতাকর্মী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী বলেন, এ হামলায় কোটা আন্দোলনকারীরা নয়, দুস্কৃতিকারী ও দুর্বৃত্তরা জড়িত ছিল। এরা এখন ছাত্র আন্দোলন নয়, আছে জ্বালানি-পোড়ানি নিয়ে।
সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে এ নিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করননি।
অপরদিকে, চলমান শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা, মামলা ও হত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে নোয়াখালীতে ছাত্র, শিক্ষক-জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টির বাঁধা উপেক্ষা করে জেলা শহরের মাইজদী বাজার থেকে ছাত্র জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কে এসে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এ সময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চৌমুহনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও জনতা অংশ নেয়।