ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ইবিতে দোয়া ও বিক্ষোভ মিছিল
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী পুলিশের গুলিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকল শিক্ষার্থীদের স্মরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুম্মা নামাজের পরে দোয়া প্রার্থনা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২ আগষ্ট) জুম্মার নামাজের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা৷ পরবর্তীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী সফলে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়কসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মিছিলে শিক্ষার্থীরা আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই, হল গুলো বন্ধ কেন, প্রশাসন জবাব চাই; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই; কয় দফা কয় দাবী, নয় দফা নয় দাবী, দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশে রূপ নেয়।
মিছিল শেষে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুরো জাতি দেখেছে আবু সাঈদকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে অথচ সেখানে নিরপরাধ একজনকে ধরা হয়েছে। স্কুল ড্রেস থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে, হাসপাতাল থেকে সুস্থ হলে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ছোট ভাইকে এখানে থাকা অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এগুলো সরকারের প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এসব প্রহসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সমাজ মাঠে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীতে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে এ সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির একাত্মতা ঘোষণা করছি। আমি মিরপুর যে হত্যাকান্ড দেখেছি তার বিচার অবশ্যই বাংলাদেশে হওয়া উচিত। বাংলাদেশে না পারলে ছাত্রসমাজ তার ভাইয়ের প্রতি একশো পারসেন বেইমানি করবে। এ জন্য আমি এই তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল শিক্ষকদের একটি মৌন মিছিল আছে সেখানে আমি বক্তব্য রাখবো। আপনাদের যদি শোনার সৌভাগ্য হয় তাহলে শুনবেন সেদিন ঢাকায় ১০ নম্বরে কি হয়েছিল, কি ঘটেছিল, কেমন করে ঘটেছিল। এ কথাটি বারবার বলা হচ্ছে মেট্রোরেল পোড়ানো হয়েছে, কোন প্রেক্ষাপটে ছাত্ররা মেট্রোরেলে উঠেছিল, সেদিন আমি নিজের চোখে দেখেছি। ছাত্রদের এখানে দোষ দেবার কোন সুযোগ নাই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শামীম হত্যার অভিযোগে জাবির ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৮ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের ৩৯তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণাদির (ভিডিও ফুটেজ ও ফটোগ্রাফ) উপর ভিত্তি করে ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধ বিবেচনা করে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০১৬-২০১৭ (৪৬ ব্যাচ) সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া, একই বিভাগের ২০১৫-২০১৬ (৪৫ ব্যাচ) সেশনের শিক্ষার্থী রাজু আহাম্মদ, ২০২০-২০২১ (৫০ ব্যাচ) সেশনের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান এবং ২০১৪-২০১৫ (৪৪ ব্যাচ) সেশনের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ।
এছাড়াও বহিষ্কৃত বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন—জাবির ২০১৯-২০২০ (৪৯ ব্যাচ) সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ্ সালমান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০২০ (৪৯ ব্যাচ) সেশনের মো. আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-২০১৮ (৪৭ ব্যাচ) সেশনের সোহাগ মিয়া এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ (৪৯ ব্যাচ) সেশনের শিক্ষার্থী মো. আহসান লাবীব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত ১৫ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের কয়েক দফা হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার ঘটনায় আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠিত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এবং একই দিন রাত ১২টার দিকে জাবি উপাচার্য ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ছররা গুলিবর্ষণ এবং ১৭ জুলাই বিকেল ৩টার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ কাহালীকে সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সাধারণ প্রশাসন ও আইন) মো. মাহতাব-উজ-জাহিদকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠিত হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দীন।
অফিস আদেশে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা দেড় ঘণ্টা ধরে মিটিং করেছি। জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় অংশ নেওয়া সব সদস্যদের সম্মতিক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি, সবাই ক্যাম্পাসে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন।
এদিকে, ঢাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত। নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টির অগ্রযাত্রা শুরু হোক আজ থেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, ছাত্রলীগের হল শাখার উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক থেকে পদত্যাগকৃত ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোত্তাকিন সাকিন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করে এজাহার দায়ের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার আমান উল্লাহ এ মামলার আবেদন করেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, গতকাল রাত পৌনে ৮টায় ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করেন। পরে হলের মূল ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে সে মোবাইল চুরি করেছে বলে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। পরে ওই যুবক মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে পেছনে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। কয়েকজন শিক্ষার্থী বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়েনর কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে জানালে তারা অচেতন যুবককে ধরাধরি করে মেডিকেল নিয়ে যায়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পথচারী লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, অচেতন যুবকের নাম তোফাজ্জল ও তিনি একজন ভবঘুরে। পরে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া রাত ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে মৃত ঘোষণা করে।
জানা যায়, নিহত ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক জালাল আহমেদসহ হলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধর করছেন।
ভোর সাড়ে ৪টায় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যান। সেখান থেকে পরে হল প্রাঙ্গণে এসে হলের পুরাতন ভবনের গেস্টরুম ও এক্সেসটেনশনের গেস্টরুম ঘুরে দেখেন। এই দুটি গেস্টরুমেই তোফাজ্জলকে মারা হয়। এ সময় তিনি দুটি রুম সিলগালা করে দেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালেদ মনসুর জানান, হত্যার ঘটনায় এজাহার গ্রহণ করে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক এএম সারওয়ারউদ্দিন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ (চার) বছর হবে। ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে শুরু হয় পদত্যাগের হিড়িক। সরকার পতনের পর পদত্যাগ করেন হাসিনা সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদও। তিনি গত ১০ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।