জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, যদি কেউ কোনো নাশকতা ঘটাতে চায় তা মোকাবিলার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে প্রস্তাবনায় সই করেছেন আইমন্ত্রী আনিসুল হক। তাদের নিষিদ্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি, কেউ কোনো নাশকতা ঘটাতে চায়, তা মোকাবিলার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
এরইমধ্যে নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপন জারির আগে সকালে সচিবালয়ে নিজ দফতরে আইমন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের অঙ্গসংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন, তাদের গণহারে বিচার করা হবে না।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধের পর দলের কাউকে আদালত ছাড়া সরকার অপরাধী হিসেবে শাস্তি দিতে পারে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে আইনের কথা বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, সেখানেও আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা করেছি। নিষিদ্ধ করার পরও তাকে সাজা দেয়া যাবে না এমনটি নয়। তবে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সাজার মধ্যে আসবে না।’
তাদের সম্পদের কী হবে এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, সেগুলোরও ব্যবস্থা হবে। এটা আইনে আছে।
জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের সদস্যদের কী হবে, তারা ফৌজদারি আইনে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে কি না, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এই দলের অধীন তারা রাজনীতি করতে পারবেন না। তারা যদি বাংলাদেশের কোনো আইনে অপরাধ করে থাকেন, অবশ্যই তাদের বিচার হবে। কিন্তু এটা যদি বলেন, গণহারে জামায়াতের যারা নতুন কর্মী, যারা ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন, তাদেরকে বিচার করা হবে না, এমন গণহারে বিচার করা হবে না।
জামায়াত আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারেন। আন্ডারগ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে, তাদের কী হয়েছে, আপনারা নকশালবাড়ির ইতিহাস জানেন। অনেক দল যেতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ডে। কিন্তু আমি বলেছি, সেটাকে মোকাবিলার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
কাফি