ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৭৬০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০০ কোটি, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৪৪ কোটি, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়নে ১১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সংস্থাটি।
বুধবার (৩১ জুলাই) এই বাজেট ঘোষণা করেন দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর অর্জিত আস্থার ওপর ভর করেই ক্রমাগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা উন্নয়ন ব্যয় উপস্থাপন করেছি। এর ফলে আগামীদিনে নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে।
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, গত ৪ বছরে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে ধুপখোলা আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার মাঠ, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাপবাগ খেলার মাঠ, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষীবাজার খেলার মাঠ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বকশিবাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগঞ্জ খেলার মাঠ, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দনকোঠা খেলার মাঠ, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে টিকাটুলি খেলার মাঠ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলাদেশ মাঠ প্রতিষ্ঠা ও সংস্কার করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গত ৪ বছরে ১০টি উদ্যান প্রতিষ্ঠা করে তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শহীদ শেখ রাসেল শিশু উদ্যান, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে মালিটোলা উদ্যান, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে হাজারীবাগ উদ্যান প্রতিষ্ঠা ও সংস্কার করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, কর্মজীবী মানুষ বিশেষত নারীদের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৪ বছরে ৩৬টি গণশৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। একই সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে ৩, ৮, ১২, ১৮, ১৯, ৩২ ও ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৭টি নতুন গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে।
শেখ তাপস আরও বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। আমরা সেখানে ‘বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণি বিতান’ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। গত ২৫ মে তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন।
আজ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিমসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা।