নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে ৩৭টি দল বাজার তদারকিতে নেমেছে। এসব দল বাজারে চাহিদা মোতাবেক পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এরই মধ্যে প্রতিদিন দুটি করে দল বাজারে নামছে।
সাত সদস্যের প্রতিটি দল কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী জুন পর্যন্ত।
এছাড়াও দলগুলো বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে কি না, মূল্য তালিকা রয়েছে কি না এসব দেখবে। পাশাপাশি তারা বাজারে পণ্যের মূল্য মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়কে জানাবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বলেন, এ অর্থবছরের জন্য এসব দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিন দুটি করে দল বাজারে যাচ্ছে।
প্রতিটি দলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
এসব দল পরিদর্শনকালে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক অবস্থায় অত্যাবশকীয় পণ্য বিপণন আইনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
যদিও প্রতি বছর এমন বাজার তদারকি দল গঠন করে মন্ত্রণালয়। পবিত্র রমজানেও বিশেষ তদারকি দলের কথা বলা হয়। তবে বাজারে সাধারণ ক্রেতারা এর দৃশ্যমান কোনো সুফল পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। আর বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাজার ব্যবস্থায় দুর্বলতার কারণে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করে।
এ বিষয়ে ভোক্তাদের সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এগুলো তদারকি দল কাগজে কলমে থাকে প্রতি বছর। কোনো কাজ করে না। বাজারে কখনো কোনো দলকে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, বাজার তদারকির একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। সেজন্য এসব দল করে। কাগজে সে হিসেব লিখে রাখে। এই শেষ। ব্যস্তবতা হলো, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া কেউ মাঠে থাকে না। যদিও তাদেরও তৎপরতা কমে গেছে এখন। এছাড়াও ১১টি সংস্থা রয়েছে, যাদের বাজারে থাকার কথা। কাউকে পাওয়া যায় না।