ভিসা ছাড়াই থাইল্যান্ড যেতে পারবেন বাংলাদেশের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভিসা ছাড়াও তারা ৩০ দিন সেখানে অন অ্যারাইভাল ভিসা নিতে পারবে, এটার চুক্তি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে এ সুবিধা ২৯টি দেশের সঙ্গে ছিল, থাইল্যান্ড যুক্ত হওয়ায় এই নিয়ে আমাদের ৩০টি দেশ হলো।
আইসিএও’র ফরম্যাট অনুযায়ী হচ্ছে ভারতের সঙ্গে বিমান চুক্তি
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের বিমান চলাচলের একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছিল, সেটি ১৯৭৮ সালে করা। এখন দুই দেশ সম্মত হয়েছে যে, ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) তারা নতুন একটি ফরম্যাট তৈরি করেছে চুক্তির জন্য। সেই ফরম্যাট অনুযায়ী দুই দেশ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সম্মত হয়েছে। শর্ত একই আছে, ফ্রিডমসহ যেটা আগেও ছিল। চুক্তিটা নতুন ফরম্যাটের জন্য শুধু অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, মন্ত্রিসভায় সেটি অনুমোদন হয়েছে।’
মূলত নীল রং এর পাসপোর্টকে বলা হয় অফিসিয়াল পাসপোর্ট। সরকারি কাজে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হলে এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়।