ভিয়েতনামে চলতি মৌসুমের শুরু থেকে চাল রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশটি চলতি বছর ৫০০ কোটি ডলারের চাল রফতানির রেকর্ড করতে পারে। সম্প্রতি দেশটির শীর্ষ এক চাল রফতানিকারকের বরাতে এ তথ্য দিয়েছে ভিয়েতনাম এক্সপ্রেস।
চলতি বছর ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও আফ্রিকার মতো প্রধান আমদানিকারক দেশে চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল রফতানির সুযোগ আছে ভিয়েতনামের।
দেশটির কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইন্দোনেশিয়া ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ভিয়েতনাম থেকে মোট ২২ লাখ টন চাল আমদানি করেছে। জুন থেকে বছরের বাকি সময়ে আরো ২১ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা আছে দেশটির।
ভিয়েতনামের চাল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান জিএলইর সিইও ভু তুয়ান আনহ জানান, পোকামাকড় ও বন্যা-খরার কারণে ইন্দোনেশিয়ার শস্য উৎপাদন ব্যাহত হলে দেশটি এ বছর ভিয়েতনাম থেকে ৪৩ লাখ টনের বেশি চাল আমদানি করতে পারে। ভিয়েতনামের চালের গুণগত মান বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো। ফলে এটি ভিয়েতনামের চাল রফতানিকারকদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।
তিনি বলেন, ফিলিপাইনেও চাল রফতানির ভালো সুযোগ আছে। দেশটি চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভিয়েতনাম থেকে ১৭ লাখ টন চাল আমদানি করেছে। বছরের বাকি সময়েও এ চাহিদা অক্ষুণ্ন থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিয়েতনামের শুল্ক বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভিয়েতনাম মোট ৪৮ লাখ টন চাল রফতানি করেছে। এতে দেশটি ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার আয় করেছে। এ সময় চালের গড় রফতানি মূল্য আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি টনে ৬১২ ডলার ৩০ সেন্টে উন্নীত হয়েছে।
ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এনগুয়েন এনগক ন্যাম জানান, চীন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়াসহ ভিয়েতনামের চালের প্রধান বাজারগুলোয় চাহিদা বেড়েছে। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যেও ভিয়েতনামের চালের বাজার সম্প্রসারণে অ্যাসোসিয়েশন কাজ করছে।