আন্তর্জাতিক
কমলার প্রচারণার তহবিলে সাত দিনেই ২০ কোটি ডলার!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র একশ দিন বাকি। জো বাইডেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখনো কমলা হ্যারিসের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে তিনিই ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাব্য প্রার্থী। এই অবস্থায় তার প্রচারের জন্য এক সপ্তাহে ২০ কোটি ডলার (প্রায় দুই হাজার ২৩৫ কোটি বাংলাদেশি টাকা) অনুদান জমা পড়েছে।
হ্যারিসের ডেপুটি প্রচার ম্যানেজার রব প্ল্যাহার্টি সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বলেছেন, আমরা গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচার শুরু করেছি। এর মধ্যে কমলা হ্যারিস ২০ কোটি ডলার তুলে ফেলেছেন। ৬৬ শতাংশই হলেন নতুন ডোনার। আমরা ১৭ হাজার নতুন স্বেচ্ছাসেবীকেও সই করিয়েছি। আর একশ দিন বাকি। ইতিমধ্যেই বিল ক্লিন্টন, বারাক ওবামা, ন্যান্সি পেলোসির মতো নেতারা কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন। অগাস্টে তার দল অনলাইন ভোটিং করবে। তারপরই সম্ভবত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হিসাবে হ্যারিসের নাম জানাবে তারা।
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন। প্রশ্ন হলো, হোয়াইট হাউসের জন্য এই লড়াইয়ে হ্যারিস শেষপর্যন্ত ট্রাম্পকে এইভাবে টক্কর দিতে পারবেনতো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সিরিয়ায়ও আয়না ঘরের মতো বন্দিশালার সন্ধান
স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর সিরিয়ায় একের পর এক ভয়ঙ্কর নির্যাতনের চিত্র উঠে আসছে। বিদ্রোহীদের দমনে নানা ধরনের নির্যাতনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন আসাদ। এর মধ্যে অন্যতম হলো বন্দিশালা। যেখানে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো বন্দিদের।
জাতিসংঘের সিরিয়া কমিশনের সমন্বয়ক বলেছেন, বাশার আল-আসাদের বন্দিশালার যে চিত্র পাওয়া যাচ্ছে তা ভয়ঙ্কর তবে আশ্চর্জজনক নয়।
লিনিয়া আর্ভিডসন বলেছেন, ২০১১ সাল থেকেই জাতিসংঘের দল সিরিয়ার বন্দিশালাগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে সাবেক বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে। তবে এই প্রথমবার তারা সরাসরি বন্দিশালাগুলোতে প্রবেশের সুযোগ পেলো।
তিনি বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড এ সব বন্দিশালাগুলোতে কোনো জানালা নেই। বন্দিরা সেখানে সূর্যের আলো দেখা ছাড়াই বছরের পর বছর, দশকের পর দশক অতিবাহিত করেছে। সাবেক বন্দিদের কাছ থেকে যে বর্ণনা পাওয়া গেছে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের প্রধান জানিয়েছেন, আসাদ সরকারের আমলে যে সব কর্মকর্তা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কর্তৃপক্ষ তাদের তালিকা করবে।
তাছাড়া নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিষয়ে তথ্য দিলে পুরষ্কার দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে আ. লীগের ৪ নেতা গ্রেপ্তার
ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন পলাতক। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতেই তাদের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। পলাতকরা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।
শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের আবাসস্থলে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিলং থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই আসামি পলাতক।
সূত্র আরও জানায়, কলকাতার ওই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদের ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজাহারে নাম না থাকায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্য একটি সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন মূলত সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা নাসির ও যুবলীগ সভাপতি মুক্তিসহ সবাই এক ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। তাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পালানোর পথে আসাদের প্লেন বিধ্বস্তের গুজব
ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। কিন্তু ‘সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮ ফ্লাইটটি’ উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় অনেকে বলছেন বিদ্রোহীদের গুলিতে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কোনো আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে এতথ্য নিশ্চিত বা যাচাই করতে পারেনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার বিদ্রোহীরা যখন রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করছেন, সে সময় দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ইলিউশিন৭৫ উড়োজাহাজ আকাশে উড়াল দেয়।
‘সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮ ফ্লাইটটি’ দামেস্ক থেকে উড়াল দেওয়া সর্বশেষ ফ্লাইট বলে জানিয়েছে ফ্লাইটরাডার ২৪। ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্যানুযায়ী, দামেস্ক থেকে ছাড়া ইলিউশিন৭৫ উড়োজাহাজটি প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পরে ইউ–টার্ন নিয়ে উড়ে যেতে শুরু করে এবং কয়েক মিনিট পর সেটি মানচিত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হওয়ার সময় উড়োজাহাজটি হোমসের ওপর ছিল বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
ওই উড়োজাহাজে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ছিলেন কি না, রয়টার্স তা নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, রোববার স্থানীয় সময় ভোরে উড়োজাহাজে দামেস্ক ছেড়েছেন আসাদ। তখন তারা বলেছিলেন, আসাদের গন্তব্যে কোথায়, তা তারা জানেন না।
দামেস্ক বিমানবন্দর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আসাদ সিরিয়া ছেড়ে গেছেন বলে জানানো হয়েছে।
বিদ্রোহীরা বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঠিক আগে বাশার আল-আসাদকে বহনকারী উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন করে। সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্রোহীদের গুলিতে আসাদের প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে স্বাধীনভাবে হিন্দুস্তান টাইমস খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বেশকিছু ভিডিওতে একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। এটি আসাদকে বহনকারী প্লেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই দাবিগুলো কোনো আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে নিশ্চিত বা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে, বিদ্রোহীরা উত্তর সিরিয়ার বড় অংশ দখল করার পরপরই বাশার আল-আসাদের পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায়। ক্রেমলিনের একটি সূত্র ব্লুমবার্গকে এই তথ্য নিশ্চিত করে। তারা জানায় আসাদকে রক্ষা করার কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন আসাদের সৈন্যদের পিছু হটার ঘটনায় বিরক্ত।
আমেরিকা অবশ্য প্রকাশ্যে সিরিয়া নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি খুব খারাপ। ওরা আমাদের বন্ধু নয়। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আমেরিকার কিছু করার নেই। এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। ওখানে যা হচ্ছে, হোক। আমরা এর মধ্যে নাক গলাব না।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রথম থেকেই বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েছে আমেরিকা। আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৩ সালে ঘৌটার হামলায় ৩০০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এদের মধ্যে ছিল বহু শিশু। ২০১৭ সালের হামলাতেও মৃত্যু হয় শতাধিক সিরিয়ান নাগরিকের। জাতিসংঘের একাধিক দল সিরিয়ায় গিয়ে নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
৫০ বছর পর সিরিয়ার সীমানায় ঢুকেছে ইসরায়েলি ট্যাংক
আসাদ সরকারের পতনের মধ্যে সিরিয়ার মাটিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের কয়েকটি ট্যাংক সিরিয়া সীমান্তের বেড়া অতিক্রম করেছে। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম তারা সিরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করল। খবর আল-জাজিরা।
ইসরায়েলি সংবাদ শাধ্যম মারিভের মতে, সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বা বেসামরিক নাগরিকদের আনুগত্য নির্বিশেষে, ইসরায়েলি অবস্থানের কাছাকাছি আসা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই চিকলি বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে দখলকৃত গোলান মালভূমিতে হারমন পর্বতে ইসরায়েলকে অবশ্যই ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি লাইনের ভিত্তিতে একটি নতুন প্রতিরক্ষা লাইন স্থাপন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার গোলান মালভূমির বেশিরভাগ অংশ দখল করে, ১৯৮১ সালে এটিকে সংযুক্ত করে।
এদিকে সিরিয়ার স্থানীয় সূত্রের বরাতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য ইসরায়েল টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার কুনেইত্রা শহরের কাছে বাফার জোনে প্রবেশ করেছে এবং গুলি চালিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এই বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলি মিডিয়ার অন্যান্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদের শাসনের পতনের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সম্ভাব্য হুমকির কারণে সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। এর মধ্যে স্কুল বন্ধ রাখা এবং সীমান্তবর্তী চারটি ড্রুজ গ্রামের জন্য বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
গোলান মালভূমি সংলগ্ন এলাকাগুলোকে সংরক্ষিত সামরিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। এ ছাড়াও, এই এলাকায় চেকপয়েন্ট স্থাপন এবং যান চলাচল সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সিরিয়ার আগে যেসব দেশের স্বৈরশাসক পালিয়েছেন
সশস্ত্র বিদ্রোহের মুখে সিরিয়ার দীর্ঘ দুই যুগের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ‘অজানা গন্তব্যে’। ফলে সিরিয়া এখন ‘মুক্ত’ বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহী যোদ্ধারা দামেস্কের কেন্দ্রস্থলে প্রবেশের পর আরব দেশটিতে ‘নতুন যুগ’র সূচনা হয়েছে জানিয়ে প্রবাসী সিরিয়ানদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ার রাজনৈতিক বিরোধী জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের জানাচ্ছি, বাশার আল-আসাদের পতন হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিরাপদ এবং প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার কোনো জায়গা এখানে নেই। সিরিয়ার ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায় শেষ হয়েছে।
তার এই ঘোষণার পর দামেস্কে আনন্দ-উল্লাসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর রাস্তা সিরিয়ানদের ‘মুক্তি! মুক্তি!’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে।
এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তীব্র গণআন্দোলনের মুখে বহু স্বৈরশাসক পালিয়েছেন। সিরিয়ার আগে এমনটি ঘটেছিল বাংলাদেশে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
তার আগে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় শ্রীলঙ্কায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে গণঅভ্যুত্থানের কারণে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি। অবশ্য স্বৈরাচার গাদ্দাফি পালাতে পারেননি। তিনি বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। মিশরে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন হোসনি মোবারক। পরে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
১৯৯৮ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুহার্তো। ২০০৬ সালে অভ্যুত্থান করে থাই জনতা। একটি টেলিকম কোম্পানি বিক্রয়কে কেন্দ্র করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বছরেই থাকসিনকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী।
একবিংশ শতকে আলোচিত আরব বসন্ত শুরু হয় তিউনিসিয়ায়। গণঅভ্যুত্থান ঘটলে ২৩ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা প্রেসিডেন্ট বেন আলী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
কাফি