কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্ধ হয়ে যায় থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিষেবা। যার করণে ২৭ জুলাই (শনিবার) ১০ দিন ধরে গ্রাহকরা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায়, যেসব গ্রাহকের ইন্টারনেট ডাটা অব্যবহৃত অবস্থায় মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি জানতেই এখন উদগ্রীব সবাই।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সবার আগে চিন্তা করা হবে। গ্রাহকরা যে ডাটা ব্যবহার করতে পারেননি সেটি যেন ব্যবহারযোগ্য করা যায় সে বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে। এমন একটি নির্দেশনা আমরা অপারেটরদের দেবো।
বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরা সবসময় গ্রাহকদের স্বার্থে কাজ করি। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
একইসঙ্গে এই মাসের ২৮ বা ২৯ তারিখ থেকেই মোবাইল ডাটা চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালু হলেও এখনও ফেসবুক, মেসেঞ্জারের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ফেসবুক-টিকটক তাদের নিজেদের পলিসি গাইডলাইনস নিজেরাই মেনে চলে না। তারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা নেয়।
অথচ আমাদের দেশে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, পুলিশকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করার ছবি-ভিডিও প্রকাশ করে উসকানি ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেগুলোকে তারা ব্লক করছে না। এগুলোকে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে, এমনকি তারা সেই কন্টেন্টের বুস্টিং থেকে আয় করছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি সেখানে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারে, তবে তাদের প্রতি আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কাফি