কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীতে ১৫৪টি মামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বেশির ভাগ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিএমপির ৫০টি থানায় ১৫৪টি মামলায় বুধবার পর্যন্ত এক হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া নাশকতাকারীদের হামলায় ডিএমপির ভবন, গাড়ি ও যন্ত্রপাতি ধংসের ঘটনায় ৬১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যারা নাশকতা ও সহিংসতায় জড়িত তাদের ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার।
বুধবার (২৪ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘একজন নিরপরাধ লোকও যেন জেলে না ঢোকে এজন্য আমরা বিশ্লেষণ করছি। যারা প্রকৃত সন্ত্রাসী তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ’
এদিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকা মহানগরীতে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। এসব ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে আসা একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে কে-কীভাবে আগুন লাগাচ্ছে এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িত অনেকের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।
কাফি