চলতি বছরের মে মাসে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ খরচ কমিয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এ ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরে খরচ কমেছে ৪১ কোটি টাকা আর বিদেশে কমেছে ৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চলতি বছরের মে মাসে ৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দেশের ভেতর লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। আর বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ভিসা কার্ডে। ‘মাস্টার কার্ড’-এর মাধ্যমে ৫৪৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এমেক্স কার্ডের মাধ্যমে ৩১৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
সূত্র বলছে, দেশের ক্রেডিট কার্ডে মোট লেনদেনের প্রায় শতভাগই হয়েছে মার্কিন ব্র্যান্ড ভিসা, মাস্টার কার্ড ও এমেক্সের মাধ্যমে। ডিনারস কার্ড, কিউক্যাশ, জেসিভি ও ইউনিয়নপে ব্র্যান্ডের কার্ডের মাধ্যমে তেমন কোনো লেনদেনই হয়নি।
দেশের অভ্যন্তরে, বাইরে ও দেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয়। দেশের অভ্যন্তরে এ খাতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এছাড়া খুচরা কেনাকাটায় ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, সেবার বিল পরিশোধে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, নগদ উত্তোলনে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ওষুধ ও ফার্মেসিতে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ, পোশাক কেনাকাটায় ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, অর্থ স্থানান্তরে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ট্রান্সপোর্টেশনে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, ব্যবসাসেবায় ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, পেশাগত সেবায় দশমিক ৭১ শতাংশ এবং সরকারি সেবায় দশমিক ৪১ শতাংশ লেনদেন হয়।
দেশভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের বাইরে লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হয়েছে ভারতে, ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ; যার পরিমাণ ৭৬ কোটি টাকা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৮ দশমিক ৩৮, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ দশমিক ৯৬, যুক্তরাজ্যে ৭ দশমিক ৬৮, সিঙ্গাপুরে ৭ দশমিক শূন্য ৩১ এবং কানাডায় ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
এমআই