সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সকল প্রকার কোটা সংস্কারের দাবিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২৩ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ৬ কিলোমিটার পদযাত্রা করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টায় ক্যাম্পাসের বাসে করে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে একত্রিত হয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে চৌড়হাস থেকে মজমপুর পর্যন্ত গণ পদযাত্রা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়া সিটি কলেজ, কুষ্টিয়া মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং প্রত্যন্ত এলাকার কলেজসমূহ যুক্ত ছিল।
আন্দোলনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রতিনিধিরা ডিসির অনুপস্থিতিতে এনডিসি মহসীন উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইবি ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ৭ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি স্মারক লিপি জমা দেয়। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে আমাদের দাবিগুলো আমলে নিয়ে কমিটি গঠন করে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে দিবে।
পরবর্তীতে ডিসি অফিসে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালে সংবিধানটি ছিল সমতার সংবিধান। যেখানে সবার সমতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ এতদিন পরে এসেও আমরা কোটার নামে এক বৈষম্য ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি যা সংবিধানের লঙ্ঘন। ৫৬ শতাংশ নিয়োগ যদি কোটার মাধ্যমে হয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে কি করবে? উপরন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি নির্বাচন করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোটা সংস্কারে আমরা জরুরি অধিবেশন চাই।
এসময় এনডিসি মহসীন উদ্দিন বলেন, আমরা আপনাদের স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি। স্মারকলিপিটি আমরা সময়মতো রাষ্ট্রপতির নিকট পৌঁছে দিবো।
এমআই/সাকিব