ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

সোনার আউন্স দুই হাজার ৪০০ ডলার ছাড়ালো

হঠাৎ বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও বেড়েছে সোনার দাম। এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ২১ ডলার। এর মাধ্যমে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৮০ ডলারের ওপরে বেড়েছে। এতে আবারও সোনার আউন্স ২ হাজার ৪০০ ডলার ছাড়িয়েছে।

এর আগে বিশ্ববাজারে সোনার আউন্স ২ হাজার ৪০০ ডলার স্পর্শ করে গত মে মাসে। ২০ মে প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড ২ হাজার ৪২৬ ডলার হয়। এ রেকর্ড দাম হওয়ার পর দরপতনের মধ্যে পড়ে সোনা। দফায় দফায় দাম কমে ২৬ জুন সোনার আউন্স ২ হাজার ২৯৮ ডলারে নেমে আসে।

এরপর আবার সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা চলতে থাকে। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে এক লাফে সোনার দাম ৬৪ দশমিক ৪৩ ডলার বেড়ে যায়। এমন বড় উত্থানের পর গত সপ্তাহজুড়েও সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দফায় দফায় দাম বেড়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৪১৫ ডলারে উঠে যায়। তবে, শেষদিকে দাম কিছুটা কমে সোনার আউন্স ১ হাজার ৪১১ দশমিক ১১ ডলারে থিতু হয়েছে।

এর মাধ্যমে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৩৪ ডলার বা দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ১০৯ ডলার বা ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ দাম বাড়ার মাধ্যমে নতুন রেকর্ডের কাছাকাছি চলে গেছে সোনা। আর মাত্র ১৫ ডলার দাম বাড়লেও সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

এদিকে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। গত ৮ জুলাই দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬০৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ২৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৪২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামে সোনা বিক্রি হচ্ছে।

সোনার দাম বাড়লেও গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে রূপার দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স রূপার দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৭৭ ডলারে। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই কমেছে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা দশমিক ৬২ ডলার।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার