ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় আগেই পাস হয়েছিল। শুরুতে প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ধরা হয়েছিল ৪১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। নতুন করে পেলো আরও ১৮১ কোটি টাকা। ফলে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়ালো ৫৯৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, একনেক সভায় এ ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও নতুন করে ডিসেম্বর ২০২৬ নাগাদ মেয়াদ বাড়ানো হয়।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ঘাটাচর ও মধ্যচরে ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। যেখানে প্রায় ১৭ একর জমির মধ্যে সৌদি সরকারের অনুদানে আরবি ভাষা ইনস্টিটিউটের জন্য তিন একর ভূমি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় রেখে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হবে। মাদরাসা শিক্ষায় অধিক দক্ষ ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল সৃষ্টি হবে। সাধারণ শিক্ষায় ডিগ্রিধারীদের সঙ্গে মাদরাসা শিক্ষায় ডিগ্রিধারীরাও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও সফল হতে পারবেন।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, আধুনিকীকরণ এবং দেশের সব ফাজিল ও কামিল মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথ পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো স্থাপন করা হবে। ফাজিল (স্নাতক) এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) পর্যায়ের কারিকুলাম ও সিলেবাস উন্নয়ন করা হবে।
এছাড়াও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। মাদরাসায় অধ্যয়নরত ও শিক্ষাদানরত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষককে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা হবে।
একই সঙ্গে এ প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসা মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক সুবিধার ব্যবস্থাও থাকবে।