মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে নতুন করে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন আরও ১১৯ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)। তাদের মধ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫ দফায় টেকনাফ সীমান্তের সাবরাংয়ের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে ঢুকে পড়ে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাদেরকে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরস্ত্রীকরণ করে হেফাজতে নেওয়া হয়।
গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, ফের নতুন করে সে দেশের বিজিপির সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি। তারা আমাদের বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের হেফাজতে রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্তক অবস্থানে আছে।
এদিকে বুধবার রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিকট শোনা গেছে টেকনাফ সীমান্তে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শব্দ কমেছে।
সীমান্তের বাসিন্দারা বলছে, মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোলার বিকট শব্দ কম পাওয়া গেছে। তবে গতকাল রাত থেকে ব্যাপক শব্দে বাড়িঘর কেঁপে উঠেছে। এদিকে, নিরাপত্তার কারণে সীমান্তের বাসিন্দাদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
কাফি