এখন সকল রোগের চিকিৎসা মানুষ দেশেই নিতে পারছে। কিন্তু এই সফল চিত্রের পাশাপাশি এখনও আমাদের দেশে সচেতনতার অভাবে অনেক মানুষ বিভিন্ন দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। সঠিক জ্ঞানের অভাবে সঠিক চিকিৎসা নিতে না পেরে অনেকেই অকাল মৃত্যুবরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় অসংক্রমক ব্যাধির সচেতনতা এবং সিপিআর (কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার প্রক্রিয়া) প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইডিপিডি ফাউন্ডেশন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, সমিতির মিলনায়তনে যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও আইডিপিডি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী অসংক্রমক ব্যাধির ওপর সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইডিপিডি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহসিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়া একজন মানুষকে প্রাথমিক অবস্থায় কিভাবে ট্রিট করতে হবে, অথবা তার সেই সংকটময় মুহূর্ত কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যবস্থাপনা কি হবে? এই বিষয়ে তার আশেপাশের মানুষদের কোনো ধারণা থাকে না। এ কারণে অনেককেই অকাল মৃত্যুবরণ করতে হয়। কিন্তু আমি নিশ্চিত এখানে আমরা অধিকাংশই সিপিআরের সঠিক নিয়ম-কানুন জানি না। এমনকি আমি নিজেও জানি না।
তিনি বলেন, তাহলে খেয়াল করে দেখুন, এতো বড় একটা সুধীজন সমাবেশে আমরা সবাই একটা মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে যাবো যদি এখানে কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। অথচ সিপিআর কিংবা এই ধরনের জীবন রক্ষাকারী সাধারণ স্কিলসমূহ আয়ত্ব এক ধরনের নাগরিক দায়িত্ব। এ কারণেই উন্নত দেশসমূহে শিশুদের স্কুলেই একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিপিআর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও সিপিআর প্রশিক্ষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তভুক্ত করা যায় কি না, এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেলকে এএম আমিন উদ্দিন ও সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলীকে অনুরোধ করেন প্রধান বিচারপতি।