কোটাবিরোধী আন্দোলনের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ফলে যাত্রী বেড়েছে রাজধানীর বিদ্যুতচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেলে। সড়কপথ বন্ধ থাকায় সাধারণ কর্মজীবী মানুষের একমাত্র যানবাহন হয়ে উঠেছে সরকারি এই বাহনটি। প্রায় প্রতিটি স্টেশনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যাত্রী দেখা যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ সামলাতে কয়েকটি স্টেশনের গেটও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সাধারণত আমরা প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করি। কিন্তু গত কয়েক দিনে প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ যাত্রী মেট্রোতে চলাচল করেছে। এর মধ্যে মতিঝিল, সচিবালয়, কারওয়ান বাজার ও উত্তরা উত্তর স্টেশনে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ছিল।
মেট্রো স্টেশনের গেট সাময়িক বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম তলায় যাত্রী অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। ভিড় বেশি হয়ে গেলে সাময়িকভাবে ওই স্টেশনগুলোর গেট বন্ধ রাখতে হয়েছে। যখন যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে চলে যায় এবং প্রথম তলা কিছুটা ফাঁকা হয় তখন গেট খুলে দিয়ে যাত্রীদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে বাংলা ব্লকেড নামে এই কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে এই কর্মসূচি ফের শুরু হয়েছে।